বুধবার ২৭ নভেম্বর ২০২৪ ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
 

ভারতের ভিত্তিহীন বিবৃতিতে ঘটনার ভুল উপস্থাপন হয়েছে: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়    চিন্ময় দাসের গ্রেপ্তার নিয়ে বিকৃত তথ্য ছড়াচ্ছে ভারত: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়    অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তার, বিচার নিশ্চিতের দাবি হাসনাত ও সারজিসের    চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যা প্রধান উপদেষ্টার নিন্দা, আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ    একদিনের ব্যবধানে সোনার দাম আরও কমলো    ২০১ রানের বড় হার বাংলাদেশের    চলতি মাসেই ডেঙ্গুতে মৃত্যু দেড়শ ছাড়িয়েছে   
গভীর রাতে অযথা কাউকে কল করা প্রসঙ্গে ইসলাম যা বলে
অনলাইন ডেস্ক:
প্রকাশ: সোমবার, ১৯ আগস্ট, ২০২৪, ৪:৩০ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: সোমবার, ১৯ আগস্ট, ২০২৪, ৫:৫২ অপরাহ্ন

গভীর রাতে কাউকে অযথা কল করা কোনোভাবেই উচিত নয়। কেননা মহান আল্লাহ রাতকে বানিয়েছেন বিশ্রামের জন্য। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আমি তোমাদের বিশ্রামের জন্য নিদ্রা দিয়েছি, তোমাদের জন্য রাতকে করেছি আবরণস্বরূপ আর দিনকে বানিয়েছি তোমাদের কাজের জন্য।’ (সুরা : নাবা, আয়াত : ৯-১১)

তাই গভীর রাতে অযথা কাউকে কল দেওয়া কোনো বিবেকবান মানুষের কাজ হতে পারে না।


কেউ কেউ রাত ১১টা-১২টার পর কিংবা আরো গভীর রাতে অন্যকে ফোন করে বসে। একবারও ভেবে দেখে না যে যার কাছে কল করা হচ্ছে সে হয়তো তখন বিশ্রাম নিচ্ছে।
মুফতি মুহাম্মদ শফি (রহ.) লিখেছেন, খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া কারো নামাজ, ঘুম বা জরুরি কাজের সময় ফোন করা জায়েজ নেই। কারণ এভাবে ফোন করলে তাকে অনুমতি ছাড়া কারো ঘরে প্রবেশ এবং তার স্বাধীনতা বিনষ্ট করার মতোই কষ্ট দেওয়া হয়।


তাই যখন-তখন ফোন করে মানুষকে কষ্ট দেওয়া অবশ্যই পরিহারযোগ্য। তা ছাড়া এশার নামাজের পর দুনিয়াবি কথাবার্তা বলাও শরিয়ত পছন্দ করে না। তবে যদি কেউ নিশ্চিন্ত হয় যে আমি যাকে কল করছি তিনি এখন জেগে আছেন এবং তাঁর সঙ্গে এ সময় কথা বললে কোনো অসুবিধা হবে না তাহলে তাঁকে কল করা দূষণীয় নয়। অনুরূপ কোনো কথা যদি এমন জরুরি হয় যা এখনই বলা দরকার তবে তা-ও বলায় কোনো অসুবিধা নেই।



তবে অপ্রয়োজনে কাউকে গভীর রাতে কল তাকে কষ্ট দেওয়ার শামিল। তা ছাড়া রাসুলুল্লাহ (সা.) এশার নামাজ এক-তৃতীয়াংশ রাত পরিমাণ দেরি করে পড়া পছন্দ করতেন, আর এশার আগে ঘুমানো এবং এশার পর না ঘুমিয়ে গল্পগুজব করা অপছন্দ করতেন।(বুখারি, হাদিস : ৫৯৯)

তাই মুমিনের উচিত রাতে যতটা তাড়াতাড়ি সম্ভব নিজেও ঘুমিয়ে যাওয়া। কারণ অপ্রয়োজনে রাত জাগার ফল হলো সকালে দেরিতে ঘুম থেকে ওঠা। বর্তমানে মুসলমান সমাজের এক বড় অংশই দিন শুরু করে ফজরের নামাজ বাদ দিয়ে।


অথচ হাদিস শরিফে এসেছে, হজরত জাবের (রা.) সূত্রে বর্ণিত, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘মুমিন ও কাফেরের মধ্যে পার্থক্যই হলো নামাজ।’ (মুসলিম, হাদিস : ১৩৪)

আর রাতে অন্যকে কল করে তার ঘুম ভেঙে দেওয়ার কারণে সকালে তার ফজরের নামাজেও ব্যাঘাত ঘটতে পারে। যার দায়ভার ঘুম ভেঙে দেওয়া মানুষটির কাঁধেও আসতে পারে। তাই সবার উচিত, কোনো যৌক্তিক কারণ ও জরুরি প্রয়োজন ছাড়া গভীর রাতে কাউকে ফোন করা থেকে বিরত থাকা।

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »


Also News   Subject:  ইসলাম   গভীর রাত   বিশ্রাম  







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. আক্তার হোসেন রিন্টু
বার্তা ও বাণিজ্যিক বিভাগ : প্রকাশক কর্তৃক ৮২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক (৩য় তলা) ওয়্যারলেস মোড়, বড় মগবাজার, ঢাকা-১২১৭।
বার্তা বিভাগ : +8802-58316172. বাণিজ্যিক বিভাগ : +8801868-173008, E-mail: dailyjobabdihi@gmail.com
কপিরাইট © দৈনিক জবাবদিহি সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft