প্রকাশ: শনিবার, ১০ আগস্ট, ২০২৪, ২:২৪ অপরাহ্ন
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে জানা যায়, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার একটি স্কুলে ইসরায়েলি বাহিনীর ভয়াবহ হামলায় শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
এছাড়া আহত হয়েছে আরও বহু মানুষ। গাজা সিটির দারাজ এলাকায় অবস্থিত ওই স্কুলটিতে আশ্রয় নিয়েছিল বাস্তুহারা ফিলিস্তিনিরা।
স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, স্কুলটিতে হামলার পর আগুন ধরে যায় এবং অনেক ফিলিস্তিনি সেখানে আটকা পড়েছেন। সেখানে পানি সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ায় দমকল কর্মীদের আগুন নেভাতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে।
এদিকে ইসরায়েলি বাহিনী দাবি করেছে যে, ওই স্কুলটি হামাসের হেডকোয়ার্টার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছিল এবং তারা বেসামরিক হতাহত এড়িয়ে চলার চেষ্টা করেছে। কিন্তু তাদের এমন দাবির সঙ্গে প্রকৃত ঘটনার কোনো মিল পাওয়া যায়নি।
গাজা সিটির আল তাবিন স্কুলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।
জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ) জানিয়েছে, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী ৬০ থেকে ৭০ হাজার ফিলিস্তিনিকে দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস থেকে ইতোমধ্যেই ঘনবসতিপূর্ণ আল-মাওয়াসি এলাকার দিকে সরে যেতে বাধ্য করেছে। এর আগে খান ইউনুসে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় কমপক্ষে ৩৫ জন নিহত হয়।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ করে ইসরায়েল। সে সময় থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী।
গাজায় প্রায় ১০ মাস ধরে চলা সংঘাতে কমপক্ষে ৩৯ হাজার ৬৯৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৯১ হাজার ৭২২ জন। প্রতিদিনই গাজায় হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। নারী, পুরুষ, শিশু, কিশোর কেউই এই হামলা থেকে রক্ষা পাচ্ছে না।