প্রকাশ: বুধবার, ৭ আগস্ট, ২০২৪, ১০:০৪ অপরাহ্ন
আজ বুধবার (৭ আগস্ট) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলা বিএনপি নেতৃবৃন্দ প্রায় ১৫ বছর ধরে মনের ভেতর জমে থাকা জ্বালা-যন্ত্রণার কথা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এর কাছে তুলে ধরেছেন।
বিকেলে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সভায় তারা নানা ক্ষোভের কথা তুলে ধরেন।
এ সময় বিএনপি নেতারা বলেন, ‘আখাউড়ায় এক নায়কতন্ত্র চলেছে। সদ্য সাবেক আইনমন্ত্রীর ক্ষমতাকে ব্যবহার করে পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল ভয়ভীতি দেখিয়ে, মামলা মোকাদ্দমা করে বিএনপি নেতাদেরকে কোনঠাসা করে রেখেছেন। কোথাও কোনো ধরণের রাজনৈতিক কর্মসূচি করতে দেওয়া হয়নি।’
সভায় সভাপতিত্ব করেন ইউএনও গাজালা পারভীন রুহী। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক মো. জয়নাল আবেদীন, সদস্য সচিব মো. খোরশেদ আলম, পৌর বিএনপি’র আহবায়ক সেলিম ভুইয়া, মো. জাকির হোসেন, মো. আক্তার হোসেন প্রমুখ। সভায় মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা জানান, ৫ আগস্ট মেয়রের রাধানগরের সাততলা বাড়িতে বিক্ষুব্ধরা হামলা করে। দীর্ঘদিন ধরে মানুষের উপর মেয়র যে অত্যাচার চালিয়ে গেছেন এরই প্রতিফলন এটা। বলা যায় এটা এক ধরণের পঞ্জিভুত ক্ষোভ। তবে হামলার পর যে লুটতরাজ হয়েছে সেটি আরেকটি পক্ষের কাজ। তাদের উদ্দেশ্যই ছিলো লুটপাট করা। মেয়রের সঙ্গে থাকতেন, আওয়ামী লীগের কর্মসূচিতে যেতেন এমন লোকজনও এ লুটপাটে অংশ নেয়। লুটপাট ঠেকাতে একাধিকবার গিয়ে কোনো লাভ হয়নি।
বক্তারা আরো অভিযোগ করেন, আখাউড়ায় আন্দোলনের মতো পরিস্থিতি ছিলো না। কেউ করতোও না। একদিন একটা মিছিল হয়। ৪ আগস্ট আরেকটি মিছিল হলে সেখানে বাধা দেয় উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ও ভাইস চেয়ারম্যান শাহবুদ্দিন বেগ শাপলু। এক শিক্ষার্থীর হাত থেকে কাগজ নিয়ে ছিড়ে শাপলু বলতে থাকেন, ‘হুয়াট ইজ এক দফা’। এরপরই শিক্ষার্থীরা বিক্ষুদ্ধ হয়। পরদিন আন্দোলনের সঙ্গে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠন যোগ দিলে সেটি আরো জোরালো হয়। এ সময় মেয়রকে অনুরোধ করা হয় কিছুক্ষণ মিছিল করে সবাই চলে যাবেন। কিন্তু মেয়র এতে বাধ সাধেন। এরই মধ্যে বড় একটি মিছিল এসে পৌর এলাকায় ঢুকে। এরপরই মেয়র, ছাত্রলীগ সভাপতিসহ বেশ কয়েকজনের বাড়িতে হামলা হয়।
এদিকে বিএনপি নেতৃবৃন্দ মঙ্গলবার রাতে আখাউড়ার কেন্দ্রীয় মন্দির শ্রী শ্রী রাধামাধব আখড়ায় হিন্দু ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে আলেম-ওলামা ও হেফাজতের নেতৃবৃন্দও উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে হিন্দুদের মন্দির ও বাড়ির নিরাপত্তা বিষয়ে সার্বিক আলোচনা হয়।