প্রকাশ: বুধবার, ৭ আগস্ট, ২০২৪, ২:০০ অপরাহ্ন
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় চলমান যুদ্ধকে প্রলম্বিত করতে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়াকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। রুশ সংবাদমাধ্যম আরআইএকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করেছেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস।
গতকাল মঙ্গলবার প্রকাশিত ওই সাক্ষাৎকারে মাহমুদ আব্বাস বলেন, ‘এটি (হানিয়া হত্যাকাণ্ড) ছিল ইসরায়েলের অত্যন্ত ভীরুতাপূর্ণ একটি পদক্ষেপ। আমি নিঃসন্দেহে বলতে পারি, চলমান সংঘাতের মেয়াদ ও ব্যাপ্তি দীর্ঘায়িত করার অপচেষ্টার অংশ হিসেবেই হামাস নেতাকে হত্যা করা হয়েছে।’ ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধ ও সেনা প্রত্যাহারসংক্রান্ত আলোচনায়ও এ ঘটনার নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
বিদ্যমান সংকট নিরসনে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলোচনা করতে চলতি মাসেই মস্কো যাচ্ছেন মাহমুদ আব্বাস। কূটনৈতিক সূত্রের বরাত দিয়ে আরআইএ জানিয়েছে, পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী ১২ থেকে ১৪ আগস্ট রাশিয়া সফর করবেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট।
ইরানের রাজধানী তেহরানে গত সপ্তাহে ইসরায়েলি হামলায় নিহত হন হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়া। এর কয়েক ঘণ্টা আগে ইসরায়েল বিবৃতি দিয়ে জানায়, লেবাননের বৈরুতে বিমান হামলায় হিজবুল্লাহ নেতা ফুয়াদ শোকরকে হত্যা করা হয়েছে। এই দুই ঘটনা মধ্যপ্রাচ্যে সর্বাত্মক যুদ্ধের আশঙ্কা বাড়িয়ে দিয়েছে।
হামাসের গুরুত্বপূর্ণ পৃষ্ঠপোষক হিসেবে পরিচিত ইরান। হানিয়া হত্যাকাণ্ডে ইসরায়েলকে অভিযুক্ত করে ‘কঠোর প্রতিশোধের’ অঙ্গীকার করেছেন দেশটির নেতারা। তবে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহে মধ্যপ্রাচ্যে বেড়ে চলা উত্তেজনা প্রশমিত করার আহ্বান জানিয়েছে রাশিয়া। পাশাপাশি ফিলিস্তিন সমস্যা সমাধানে ব্যর্থতার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও দেশটির পশ্চিমা মিত্রদের সমালোচনা করে আসছে মস্কো। পুতিন প্রশাসন মনে করে, সংকট নিরসনে ১৯৬৭ সালের নির্ধারিত সীমানার গুরুত্ব অনুধাবনে পশ্চিমারা ব্যর্থ হয়েছে।