বৃহস্পতিবার ৩১ অক্টোবর ২০২৪ ১৫ কার্তিক ১৪৩১
 

আবারও নেপালকে কাঁদিয়ে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ    রমজান উপলক্ষে নিত্যপণ্য আমদানি করবে সরকার    ৮ জেলায় নতুন ডিসি নিয়োগ    খরচ কমেছে হজের দুই প্যাকেজের    ৩৫ প্রত্যাশীদের আন্দোলনে পুলিশের লাঠিচার্জ    চাকরির বয়সসীমা ৩৫ চেয়ে ফের আন্দোলন    দেশে শেখ হাসিনা ও আ.লীগের জায়গা হবে না: ড. ইউনূস   
ইরানে গুপ্তহত্যার শিকার ইসমাইল হানিয়া
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: বুধবার, ৩১ জুলাই, ২০২৪, ১:৩৫ অপরাহ্ন

ইরানে গুপ্তহত্যার শিকার হয়েছেন ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়া। নতুন ইরানি প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের অভিষেক অনুষ্ঠানে অংশ নিতে তেহরানে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে গুপ্তহামলায় প্রাণ হারিয়েছেন হামাসপ্রধান।

আজ বুধবার এক বিবৃতিতে হামাস জানিয়েছে, ইরানের রাজধানী তেহরানে হানিয়ার বাসস্থানে ‘ইহুদিবাদী গুপ্ত হামলার’ ঘটনা ঘটেছে। এতে ৬২ বছর বয়সী হামাসপ্রধান ও তার একজন দেহরক্ষী নিহত হয়েছেন।

ইসমাইল আবদেল সালাম হানিয়া, যার ডাক নাম আবু আল-আবদ। তার জন্ম ১৯৬২ সালে গাজার শাতি শরণার্থী শিবিরে। হামাস আন্দোলনের রাজনৈতিক ব্যুরোর প্রধান এবং ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ সরকারের দশম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ইসমাইল হানিয়া।

গাজার আল-আজহার ইনস্টিটিউটে এবং পরে গাজার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন হানিয়া। সেখান থেকে আরবি সাহিত্যে স্নাতক পাস করেন তিনি।

১৯৮৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী থাকাকালীন তিনি ইসলামিক ছাত্র ব্লকে যোগদান করেন। সংগঠনটিকে হামাসের অগ্রদূত হিসেবে মনে করা হয়।

১৯৮৯ সালে আটকের পর ইসরায়েল হানিয়াকে তিন বছর বন্দি রাখে। এরপর তাকে মারজ আল-জুহুর নামের ইসরায়েল এবং লেবাননের মধ্যকার একটি নো-ম্যানস-ল্যান্ডে নির্বাসিত করা হয়। সেখানে বেশ কয়েকজন হামাস নেতার সঙ্গে অনিশ্চিত পরিস্থিতিতে অন্তত এক বছর কাটিয়েছিলেন তিনি।

নির্বাসন শেষে হানিয়া গাজায় ফিরে আসেন এবং ১৯৯৭ সালে হামাস আন্দোলনের আধ্যাত্মিক নেতা শেখ আহমেদ ইয়াসিনের অফিসের প্রধান হিসেবে নিযুক্ত হন। এটি তার অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করে।

২০০৬ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি হামাস তাকে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের প্রধানমন্ত্রী মনোনীত করে এবং একই মাসের ২০ তারিখ তাকে নিযুক্ত করা হয়।

এক বছর পর ফিলিস্তিনের জাতীয় কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস হানিয়াকে তার পদ থেকে বরখাস্ত করেন। কারণ, ইজ আল-দিন আল-কাসাম ব্রিগেডস গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে আব্বাসের ফাতাহ আন্দোলনের প্রতিনিধিদের বহিষ্কার করে। সেই সহিংসতায় অনেকে মারা যান।

হানিয়া এরপর বেশ কয়েকবার ফাতাহ আন্দোলনের সঙ্গে সমঝোতার আহ্বান জানিয়েছিলেন।

২০১৭ সালের ৬ মে থেকে তিনি হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।

গত এপ্রিলে ঈদের দিন গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় ইসমাইল হানিয়ার পরিবারের অন্তত ছয় সদস্য নিহত হন।

গাজা শহরের পশ্চিমে একটি শরণার্থী শিবিরে ওই হামলা চালানো হয়। এতে প্রাণ হারান হামাস নেতার তিন ছেলে হাজেম, আমির ও মুহাম্মদ এবং তিন নাতি-নাতনি।

ইসরায়েলের হামলায় হানিয়া পরিবারের আরও সদস্য এর আগে নিহত হয়েছেন। তার আরেক ছেলে গত ফেব্রুয়ারিতে এবং ভাই ও ভাতিজা অক্টোবরে প্রাণ হারান। এছাড়া গত নভেম্বরে নিহত হন তার এক নাতি।

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »


Also News   Subject:  আন্তর্জাতিক   ইরান   হামাস   নিহত  







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. আক্তার হোসেন রিন্টু
বার্তা ও বাণিজ্যিক বিভাগ : প্রকাশক কর্তৃক ৮২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক (৩য় তলা) ওয়্যারলেস মোড়, বড় মগবাজার, ঢাকা-১২১৭।
বার্তা বিভাগ : +8802-58316172. বাণিজ্যিক বিভাগ : +8801868-173008, E-mail: dailyjobabdihi@gmail.com
কপিরাইট © দৈনিক জবাবদিহি সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft