প্রকাশ: শুক্রবার, ৫ জুলাই, ২০২৪, ৭:২৭ অপরাহ্ন
গাইবান্ধায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। ব্রহ্মপুত্রের পানির ঢলে সদর উপজেলার কামারজানী ইউনিয়নের খারজানি এবং কুন্দেরপাড়া চরের অন্তত ১০০টি বাড়ি ধ্বসে পড়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অন্তত ৪০ হাজার মানুষ। অনেকেই বাড়িঘর ছেড়ে উচুঁ স্থান ও আশ্রয় কেন্দ্রে চলে গেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, অব্যাহত পানি বৃদ্ধির ফলে আজ দুপুর ১২টায় গাইবান্ধায় ব্রহ্মপুত্রের পানি ফুলছড়ি ঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ৮৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে এবং ঘাঘট নদীর পানি শহরের নতুন ব্রীজ পয়েন্টে ৩৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধির কারণে ব্রহ্মপুত্র বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের বাইরে সদর উপজেলার কামারজানি, মোল্লারচর, গিদারি, ঘাগোয়া, ফুলছড়ি উপজেলার এরেন্ডাবাড়ি, ফুলছড়ি, ফজলুপুর ও গজারিয়া ইউনিয়ন সাঘাটা উপজেলার হলদিয়া এবং সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর, কাপাসিয়া ও হরিপুরসহ ২৪টি ইউনিয়নের অন্তত ১৬৫টি চর ডুবে বাড়িঘরের চাল ছুইছুই করছে বন্যার পানি।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম জানান, জেলার চার উপজেলার অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গতকাল থেকে পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। ফলে ৭০ টি বিদ্যালয়ের পাঠদান বন্ধ রাখা হয়েছে। ১৫ টি বিদ্যালয়ে আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। পরিস্থিতি সাভাবিক হলে বিদ্যালয়ে আগের মতো পাঠদান কার্যক্রম চালু করা হবে।
এছাড়াও ফুলছড়ি উপজেলায় ফুলছড়ি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে পানিবন্দি মানুষের মাঝে চাল ও শুকনা খাবার ইত্যাদি বিতরণ করা হয়। সাঘাটা উপজেলায় নদী পাড়ের কিছু কিছু পয়েন্টে ভাঙনের সম্ভাবনা সৃষ্টি হওয়ায় জিও ব্যাগ ডাম্পিং, রাস্তা ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ মেরামত করা হয়। হলদিয়া ইউনিয়নে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়। সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় হরিপুর ইউনিয়নসহ অন্যান্য ইউনিয়নে বন্যাকবলিত মানুষের মাঝে চাল, শিশু খাদ্য, গো-খাদ্য, নগদ অর্থ, টর্চ লাইটসহ অন্যান্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।