প্রকাশ: বুধবার, ১৯ জুন, ২০২৪, ১:০১ অপরাহ্ন
অনেক সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ। মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনই এই সংকটের একমাত্র টেকসই সমাধান বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ।
জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের ৫৬তম অধিবেশনে রোহিঙ্গাদের মানবাধিকার পরিস্থিতির ওপর অনুষ্ঠিত একটি সংলাপে এ কথা বলেন জেনেভাস্থ বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের ভারপ্রাপ্ত স্থায়ী প্রতিনিধি সঞ্চিতা হক।
তিনি জানান, বাংলাদেশ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর জন্য সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে। এ বিষয়ে তিনি রাখাইনে রোহিঙ্গাদের আত্মীকরণের জন্য তাদের জীবিকার ব্যবস্থা উন্নয়নকল্পে বিনিয়োগ করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।
স্থায়ী মিশন থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ভারপ্রাপ্ত স্থায়ী প্রতিনিধি রাখাইনের বুথিডং-এ রোহিঙ্গা গ্রাম জ্বালিয়ে দেয়া, রোহিঙ্গাদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করা এবং তাদের জোরপূর্বক বিভিন্ন সশস্ত্র বাহিনীতে নিয়োগের সাম্প্রতিক খবরে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি মিয়ানমারে যুদ্ধরত সব পক্ষকে রোহিঙ্গাদের সুরক্ষা দেওয়া এবং তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
সম্প্রতি বাংলাদেশের জনগণ ও স্থাপনা লক্ষ্য করে মিয়ানমার থেকে গুলি চালানোর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, মিয়ানমারের যেকোনও সংঘাত তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তবে এটি যেন বাংলাদেশের জনগণ ও সম্পদকে প্রভাবিত না করে।
তিনি বাংলাদেশে অস্থায়ীভাবে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের জন্য পর্যাপ্ত মানবিক সহায়তার আহ্বান জানান। এছাড়া মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারকে ন্যায়বিচার অর্জন এবং রোহিঙ্গা সংকটের একটি টেকসই সমাধান না হওয়া পর্যন্ত রোহিঙ্গা ইস্যুকে অগ্রাধিকার দেয়ার অনুরোধ করেন।
সংলাপের শুরুতে মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার জনাব ভলকার তুর্ক কাউন্সিলে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলমানদের মানবাধিকার পরিস্থিতির ওপর একটি প্রতিবেদন পেশ করেন। হাইকমিশনার সাম্প্রতিক সহিংসতা বৃদ্ধি, রোহিঙ্গাদের জোরপূর্বক সশস্ত্র বাহিনীতে নিয়োগ এবং রাখাইনে ঘৃণ্য যুদ্ধ-কৌশল নিয়ে গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং ২০১৬ ও ২০১৭ সালে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত নৃশংস অপরাধের পুনরাবৃত্তি রোধ করার জন্য সব পক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।