প্রকাশ: রোববার, ২৬ মে, ২০২৪, ১২:৪৯ অপরাহ্ন
মহারণের মঞ্চ প্রস্তুত। অস্ত্রে শান দেওয়া শেষ দুদলের। এখন মাঠে নামার অপেক্ষা। প্রতিপক্ষকে খুবলে খাওয়ার সব রসদই আছে দুদলের। ফুটবলে শেষ বাঁশি বাজার সময় থাকে। চিরস্থায়ী অনিশ্চয়তার খেলা ক্রিকেটে শেষ বলের জন্য অপেক্ষা করতে হয়। তারপর আসে শেষ হাসি।
মহারণের পর শেষ হাসি হাসতে, আইপিএলের শ্রেষ্ঠত্ব নিজেদের করে নিতে তৈরি কলকাতা নাইট রাইডার্স ও সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। চেন্নাইয়ের এমএ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে আজ রোববার (২৬ মে) বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় মুখোমুখি হবে কলকাতা-হায়দরাবাদ। শিরোপা থেকে কেবল একটি জয় দূরে দল দুটি।
পরিসংখ্যানে হায়দরাবাদের চেয়ে বেশ এগিয়ে কলকাতা। প্রথম কোয়ালিফায়ারে হায়দরাবাদকে হারিয়েই ফাইনাল নিশ্চিত করেছিল শাহরুখ খানের দল। এছাড়া আইপিএলে এখন পর্যন্ত ২৭ বারের দেখায় ১৮টিতে কলকাতা আর ৯টিতে হায়দরাবাদ জয় পেয়েছে। চলতি আসরেই দুদলের দুই দেখায় শেষ হাসি কলকাতার।
আইপিএলে এখন পর্যন্ত তিনবার ফাইনাল খেলেছে কলকাতা। দুইবার শিরোপা জিতেছে দলটি। ২০১২ ও ২০১৪ মৌসুমে। সর্বশেষ শিরোপার পর ১০ বছর হয়ে গেছে। অন্যদিকে, ২০১৬ সালে একবারই শিরোপা জেতে হায়দরাবাদ। চ্যাম্পিয়ন না হওয়ার আট বছর পার হয়েছে তাদেরও।
ফাইনালে গুরবাজ-আইয়ারদের মতো ব্যাটাররা হায়দরাবাদের জন্য বেশ দুশ্চিন্তার কারণ হতে পারেন। পাশাপাশি কলকাতার বোলিং আক্রমণ দারুণ। মিচেল স্টার্ক-সুনিল নারিনরা ছন্দে থাকলে নিশ্চিতভাবে বিপাকে পড়তে হবে হায়দরাবাদের ব্যাটারদের। প্রথম কোয়ালিফায়ারে যার প্রমাণ মিলেছে। একাই তিন উইকেট নিয়ে হায়দরাবাদের ব্যাটিং ইউনিট ধসিয়ে দেন স্টার্ক।
এবারের আইপিএলে কলকাতার জন্য বড় প্রাপ্তি অলরাউন্ডার নারিনের ছন্দ। ১৪ ম্যাচে ব্যাট হাতে ১৭৯ স্ট্রাইক রেটে ৪৮২ রান করার পাশাপাশি বল হাতে নিয়েছেন ১৩ উইকেট। ফাইনালেও তার দিকে চেয়ে থাকবে দল।
হায়দরাবাদের অন্যতম শক্তির জায়গা তাদের ব্যাটিং ইউনিট। চলতি আইপিএলে বেশ কবার আড়াইশ রানের গণ্ডি পেরিয়েছে দলটি। স্কোরবোর্ডে তুলেছে রেকর্ড ২৮৭ রান। যা আইপিএল ইতিহাসের সর্বোচ্চ। দুই টপ অর্ডার ব্যাটার হেনরিখ ক্লাসেন ও ট্রাভিস হেডের ব্যাট হাসলে ফাইনাল হতে পারে পুরোপুরি একপেশে। চলতি আইপিএলের পরিসংখ্যান তেমনটাই বলে।
বোলিং আক্রমণেও খুব একটা পিছিয়ে নেই হায়দরাবাদ। প্যাট কামিন্স, ভুবেনেশ্বর কুমারদের মতো অভিজ্ঞরা কলকাতার ব্যাটারদের ভোগাতে পারেন। তবে, সব ছাপিয়ে আলোচনায় চিদাম্বারামের উইকেট। এখন পর্যন্ত এই মাঠে খেলা ৮৪ ম্যাচের মধ্যে আগে ব্যাট করা দলই জিতেছে ৪৮টি। পরে ব্যাট করা দল জিতেছে ৩৫টি। তাই টস বড় একটা ফ্যাক্টর হতে যাচ্ছে এই ম্যাচে। যদিও আইপিএলে শেষ ১০ ম্যাচে পরে ব্যাট করা দলই এখানে বেশি ম্যাচ জিতেছে।
ফাইনালে অবশ্য পরিসংখ্যান খাটে না। যারা ভালো খেলবে, দিনটি তাদের। আর এই একটি দিন নিজেদের করে নিতে চেষ্টার কমতি রাখেন না কেউই।