বুধবার ২৭ নভেম্বর ২০২৪ ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
 

ভারতের ভিত্তিহীন বিবৃতিতে ঘটনার ভুল উপস্থাপন হয়েছে: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়    চিন্ময় দাসের গ্রেপ্তার নিয়ে বিকৃত তথ্য ছড়াচ্ছে ভারত: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়    অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তার, বিচার নিশ্চিতের দাবি হাসনাত ও সারজিসের    চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যা প্রধান উপদেষ্টার নিন্দা, আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ    একদিনের ব্যবধানে সোনার দাম আরও কমলো    ২০১ রানের বড় হার বাংলাদেশের    চলতি মাসেই ডেঙ্গুতে মৃত্যু দেড়শ ছাড়িয়েছে   
প্রায় ১১ হাজার বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাবে যুক্তরাজ্য
প্রকাশ: শুক্রবার, ১৭ মে, ২০২৪, ৪:৫২ অপরাহ্ন

 যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশ ফাস্ট ট্র্যাক রিটার্ন চুক্তিতে সম্মত হয়েছে। এই চুক্তির আওতায় অ্যাসাইলাম আবেদন প্রত্যাখ্যান হওয়া বাংলাদেশি নাগরিকদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ। গত বছর প্রায় ১১ হাজার বাংলাদেশি ভিসা নিয়ে ব্রিটেনে প্রবেশ করেছেন এবং শুধু স্থায়ীভাবে থাকার জন্য ১২ মাসের মধ্যে আশ্রয়ের দাবি জমা দিয়েছেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অভিবাসীরা গত বছরের মার্চ থেকে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী, কর্মী বা ভিজিটর ভিসায় ব্রিটেনে এসে রাজনৈতিক আশ্রয় দাবি করেছেন। ব্রিটেনে প্রবেশের ‘পেছনের দরজা’ হিসেবে কাজে লাগানোর প্রয়াসে এসব ভিসা ব্যবহার করেছেন তারা। তবে দেশটিতে বাংলাদেশিদের প্রাথমিক আশ্রয় আবেদনের মাত্র ৫ শতাংশই সফল হয়েছে। এবার যুক্তরাজ্যের অবৈধ অভিবাসন বিষয়ক মন্ত্রী মাইকেল টমলিনসন বাংলাদেশের সঙ্গে একটি ফাস্ট ট্র্যাক রিটার্ন চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন।

এর ফলে শুধু ব্যর্থ আশ্রয়প্রার্থীরাই নয়, পাশাপাশি বিদেশি নাগরিকদের মধ্যে যারা অপরাধী এবং যেসব ব্যক্তি ভিসা নিয়ে ব্রিটেনে প্রবেশের পর বাড়তি সময় অতিবাহিত করেছেন, তাদেরও দেশে পাঠানোর কাজ সহজ হবে। এছাড়া রিটার্ন চুক্তিটির ফলে বাধ্যতামূলক কোনো সাক্ষাৎকার ছাড়াই অভিযুক্তদের দেশে ফেরত পাঠনো সম্ভব। কারণ এটা অবৈধ অভিবাসীদের দেশ থেকে ফেরত পাঠানোর জন্য সহায়ক প্রমাণ রয়েছে।

চলতি সপ্তাহে লন্ডনে স্বরাষ্ট্রবিষয়ক প্রথম যৌথ ইউকে-বাংলাদেশ ওয়ার্কিং গ্রুপে উভয় পক্ষ রিটার্ন চুক্তিটিতে সম্মত হয়েছে। উভয় দেশ তাদের মধ্যকার অংশীদারত্বের পাশাপাশি অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক বিষয়ে সহযোগিতা আরো জোরদার করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হওয়ার কথা জানায়।

মন্ত্রী টমলিনসন বলেছেন, ‘আমাদের পরিকল্পনার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো অবৈধভাবে এখানে আসা ও থাকা বন্ধ করার জন্য অবৈধ অভিবাসীদের দেশে পাঠানোর কাজ এগিয়ে নেওয়া। বাংলাদেশ যুক্তরাজ্যের মূল্যবান অংশীদার এবং আমরা এই ইস্যুর পাশাপাশি অন্য বিভিন্ন বিষয়ে আমাদের সম্পর্ক জোরদার করছি।’ তিনি আরো বলেন, ‘এ ধরনের চুক্তিগুলো অবৈধ অভিবাসনের ওপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে। বৈশ্বিক সমস্যাগুলোর বৈশ্বিক সমাধান প্রয়োজন।

তাই একটি সঠিক ব্যবস্থা তৈরির জন্য আমি বাংলাদেশ ও অন্যান্য অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করার জন্য উন্মুখ।’ টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, ভিসা একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বিদেশিদের যুক্তরাজ্যে থাকার অনুমতি দেয়। সাধারণত তা কয়েক মাস হতে পারে। কিন্তু যুক্তরাজ্যে প্রবেশের পর কেউ আশ্রয়ের আবেদন বা অ্যাসাইলাম দাবি করলে সেই মেয়াদ অনির্দিষ্টকালের জন্য হয়ে যায়। কারণ কেউ এই ধরনের আবেদন করলে তাদের নির্বাসনে পাঠানোর ক্ষেত্রে দেশটির হোম অফিস মানবাধিকার আইনসহ বিশাল বাধার সম্মুখীন হয়।

গত মাসে প্রকাশ্যে আসা অফিশিয়াল ডকুমেন্টস অনুযায়ী, ২০২৩ সালের মার্চ পর্যন্ত রেকর্ড ২১ হাজার ৫২৫ জন ভিসাধারী যুক্তরাজ্যে আশ্রয়ের আবেদন করেছেন। যা আগের বছরের তুলনায় ১৫৪ শতাংশ বেশি। অর্থাৎ যুক্তরাজ্যের ভিসা নিয়ে প্রবেশকারী প্রতি ১৪০ জনের মধ্যে একজন দেশটিতে আশ্রয়ের আবেদন করেছেন।

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. আক্তার হোসেন রিন্টু
বার্তা ও বাণিজ্যিক বিভাগ : প্রকাশক কর্তৃক ৮২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক (৩য় তলা) ওয়্যারলেস মোড়, বড় মগবাজার, ঢাকা-১২১৭।
বার্তা বিভাগ : +8802-58316172. বাণিজ্যিক বিভাগ : +8801868-173008, E-mail: dailyjobabdihi@gmail.com
কপিরাইট © দৈনিক জবাবদিহি সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft