প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১৪ মে, ২০২৪, ৯:১৯ অপরাহ্ন
থাইল্যান্ডের রাজতন্ত্রকে অপমান করার অভিযোগে অভিযুক্ত এক থাই কর্মী এক মাস ধরে অনশনের পর আটক অবস্থায় মঙ্গলবার মারা গেছেন।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নেটিপর্ন সানেসাংখোম মঙ্গলবার সকালে তার হৃদযন্ত্র ‘হঠাৎ বন্ধ’ হওয়ার পর মারা যান। ২৮ বছর বয়সী এই কর্মী একটি ছোট গণতন্ত্রপন্থী গোষ্ঠীর অংশ। তিনি একজন বিচারকের মেয়ে। তিনি ২৬ জানুয়ারি থেকে আটক ছিলেন।
তার বিরুদ্ধে রাজতন্ত্রকে অপমান করার দুটি অভিযোগসহ সাতটি পৃথক অভিযোগ ছিল। আটক হওয়ার পরের দিন তিনি তার অনশন শুরু করেন। ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে পানি পান করেন এবং এপ্রিল থেকে খাবার গ্রহণ করেন। সানেসাংখোম থাইল্যান্ডের বিচারব্যবস্থার সংস্কার দাবি করছিলেন।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সানেসাংখোমকে প্রাথমিকভাবে আদালত অবমাননার অভিযোগে আটক করা হয়। রাজতন্ত্রের মানহানির পৃথক মামলায় জামিন প্রত্যাহার করার পর তার আটকের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল। তাকে রাজতন্ত্রের মানহানির দুটি মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছিল। দোষী সাব্যস্ত হলে সানেসাংখোমকে প্রতিটি অভিযোগের জন্য ১৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের মুখোমুখি হতে হতো।
থাইল্যান্ডে বিশ্বের সবচেয়ে কঠোর আইন রয়েছে। লিগ্যাল এইড গ্রুপ থাই লয়ার্স ফর হিউম্যান রাইটসের মতে, ২০২০ সাল থেকে রাজতন্ত্রের মানহানি আইনের অধীনে প্রায় ২৬০টি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
সানেসাংখোম অনশনে যাওয়ার এটাই প্রথম ঘটনা নয়। ২০২২ সালে তিনি ও একজন সহকর্মী ৬৪ দিনের জন্য খেতে অস্বীকার করার পর কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন। সূত্র : বিবিসি