প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১৪ মে, ২০২৪, ৬:২৫ অপরাহ্ন
গাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত আঞ্চলিক প্রতিরোধ যোদ্ধাদের আক্রমণে কমপক্ষে দেড় হাজার ইসরাইলি সেনা নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন লেবাননের সশস্ত্র প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহর মহাসচিব সাইয়েদ হাসান নাসরুল্লাহ। একই সময়ে আহত হয়েছে আরও কয়েক হাজার দখলদার সেনা।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে লেবানন-ইসরাইল সীমান্ত সংঘর্ষে নিহত ইসরাইলি সেনাদের সংখ্যা এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত কিনা তা পরিষ্কার করেননি হিজবুল্লাহ মহাসচিব। তবে প্রতিরোধ যোদ্ধাদের দাবি, হতাহত সেনার সংখ্যা আরও বেশি, কিন্তু রাজনৈতিক চাপে ইসরাইল সরকার প্রকৃত সংখ্যা গোপন করছে।
সোমবার হিজবুল্লাহর সিনিয়র কমান্ডার মোস্তফা বদরুদ্দিনের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দেয়া ভাষণে এ তথ্য জানান হাসান নাসরুল্লাহ। ২০১৬ সালে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইসরাইলের হামলায় নিহত হন মোস্তফা বদরুদ্দীন।
হিজবুল্লাহ মহাসচিব বলেন, গাজা উপত্যকায় ৩৫ হাজারের বেশি বেসামরিক নাগরিক হত্যা করলেও জায়নবাদী ইসরাইল তাদের ঘোষিত কোনো লক্ষ্য অর্জন করতে পারেনি।
এমনকি ইসরাইলের মানুষ নেতানিয়াহু সরকারের ব্যর্থতার বিষয়ে একমত উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, নেতানিয়াহু যখন বিজয়ের কথা বলেন তখন দেশটির জনগণ তাকে নিয়ে উপহাস করে।
নাসরাল্লাহ বলেন, গাজা যুদ্ধের পরাজয় ঢাকতেই ইসরাইলি সেনাবাহিনী এখন দক্ষিণ গাজার রাফাহ শহরে হামলা চালাচ্ছে। এই শহরে দশ লাখেরও বেশি গাজাবাসী আশ্রয় নিয়েছে।
তিনি আরো বলেন, লেবানিজ ফ্রন্ট গাজার প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখবে, এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত। আমেরিকান এবং ফরাসিরা এই সত্যটি স্বীকার করেছে।
এর আগে গেলো অক্টোবর মাসের ৭ তারিখে ইসরাইলে এই দশকের সবচেয়ে বড় সামরিক অভিযান চালায় গাজার হামাস সরকার। এর পরপরই গাজায় বিমান হামলা ও স্থল হামলা শুরু করে ইসরাইল। এ আগ্রাসনে ৪০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। আহত ৭০ হাজার ছাড়িয়েছে।
লেবাননের প্রতিরোধকামী সংগঠনটি বলেছে, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার ওপর ইসরাইলি আগ্রাসন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত তারা হামলা থামাবে না।