প্রকাশ: রোববার, ১২ মে, ২০২৪, ৫:০১ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: রোববার, ১২ মে, ২০২৪, ৫:০৪ অপরাহ্ন
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে যুবলীগ নেতা জামাল উদ্দিনকে হত্যায় ৯ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে যাবজ্জীবন সাজার প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশও দেওয়া হয়েছে। এছাড়া মামলার রায়ে পাঁচ জনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
আজ রোববার দুপুরে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক জাহাঙ্গীর হোসেন এই রায় ঘোষণা করেন।
এসময় যাবজ্জীবন সাজার এক আসামি কাঠগড়ায় উপস্থিতি থাকলেও মৃত্যুদণ্ড পাওয়া সবাই পলাতক ছিলেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম আলকরা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. ইসমাইল হোসেন বাচ্চু, আলকরা ইউনিয়নের কুলাসার গ্রামের সালাউদ্দিন, আব্দুর রহমান, মফিজুর রহমান খন্দকার, জিয়াউদ্দিন শিমুল, জাহিদ বিন শুভ, রেজাউল করিম বাবলু, মো. রিয়াজ উদ্দিন মিয়াজী, মমতা আমির হোসেন।
যাবজ্জীবন সাজার আসামিরা হলেন- আলকরা ইউনিয়নের কুলাসার গ্রামের নুরুল আলম, কফিল উদ্দিন, নুরুন্নবী সুজন, ইকবাল আহমেদ, সাইফুল ইসলাম, মাহফুজুর রহমান খন্দকার, মোশারেফ হোসেন, মো. আলাউদ্দিন ও মোহাম্মদ আলী হোসেন।
অব্যাহতি পেয়েছেন তারা হলেন- আলকরার কুলাসার গ্রামের নজরুল ইসলাম শিমুল, আজিম উদ্দিন, আনোয়ার হোসেন সোহেল, আতিকুর রহমান নান্টু, ও ইউসুফ হারুন মামুন।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌশলী (এপিপি) জাকির হোসেন জানান, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ইসমাইল হোসেন বাচ্চুর চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপকর্মের প্রতিবাদ করায় যুবলীগ নেতা জামাল উদ্দিনের সঙ্গে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ের জামালের ওপর হামলা করে আহত করা হয়। এ বিষয়ে তিনি হয়ে আদালতে মামলা করেন। মামলার করার পর চেয়ারম্যান বাচ্চু ক্ষিপ্ত হয়ে জামালকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।
তিনি জানান, ২০১৬ সালের আট জানুয়ারি রাতে জামাল ঢাকায় যাচ্ছিলেন। পথে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রামের পদুয়ায় সড়কের ওপরে বাচ্চু চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে অন্য আসামিরা জামালকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহত জামালের বড় বোন জোহরা আক্তার বাদি হয়ে ২৩ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
মামলার রাষ্ট্রপক্ষের কৌশলী (পিপি) জহিরুল হক সেলিম বলেন, মামলায় ২০ জনের সাক্ষ্য শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত এ রায় দিয়েছেন। রায়ে বাদিপক্ষ সন্তুষ্ট।