প্রকাশ: শুক্রবার, ৩ মে, ২০২৪, ৬:০২ অপরাহ্ন
পশ্চিমবঙ্গের গভর্নর সি ভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে রাজভবনের এক নারী কর্মীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কলকাতায় পৌঁছানোর দিনে ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি। বৃহস্পতিবার (২ মে) রাতে কলকাতার রাজভবনে কর্মরত ওই নারী রাজ্যপালের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেন।
এই নারী রাজভবনের একজন অস্থায়ী কর্মী। পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগে তিনি জানিয়েছেন, প্রথমবার ২৪শে এপ্রিল তার শ্লীলতাহানি করা হয়। পরে বৃহস্পতিবার একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলে তিনি পুলিশে অভিযোগ জানানোর সিদ্ধান্ত নেন।
অন্যদিকে, রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস সমস্ত অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে পুরো ঘটনাকেই ‘পরিকল্পিত’, ‘ভিত্তিহীন’ এবং তাকে ‘কালিমালিপ্ত করে নির্বাচনী ফায়দা তোলার চেষ্টা’ বলে মন্তব্য করেছেন।
এর আগে, বৃহস্পতিবার রাতে রাজভবনের পক্ষ থেকে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, ‘সত্যের জয় হবেই। পরিকল্পনা মাফিক তৈরি ন্যারেটিভের বিষয়ে আমি মাথা ঘামাতে রাজি নই। আমার সম্মানহানি করে কেউ যদি নির্বাচনী ফায়দা পেতে চায় ঈশ্বর তাদের কল্যাণ করুন। বাংলার দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আমার লড়াই কোনোভাবে থামতে পারবে না।’
রাজ্যপাল তার বিবৃতিতে ‘নির্বাচনি ফায়দা’ তোলার যে অভিযোগ জানিয়েছেন, তার নিশানায় রাজ্যে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেস।
অতীতে একাধিকবার তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগের মতো একাধিক ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্য সরকারের সঙ্গে বারবার রাজ্যপালের সংঘাত দেখা গিয়েছে। বিজেপির সঙ্গে তার ‘নৈকট্যের’ অভিযোগ এনে রাজ্যপাল সাংবিধানিক এখতিয়ারের বাইয়ে গিয়ে কাজ করছেন বলেও দাবি করেছিল তৃণমূল।
লোকসভা ভোটেও বিভিন্ন বুথে অশান্তির অভিযোগের বিষয়ে তৃণমূলের সমালোচনা করেছেন রাজ্যপাল। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে রাজভবনে কর্মরত ওই নারীর অভিযোগ সামনে আসার পরই তার বিরুদ্ধে তৃণমূলের নেতা-নেত্রীদের মন্তব্যকে কেন্দ্র করে আরও একবার বাহাস শুরু হয়েছে।
রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের মন্তব্যকে ঘিরে আবার সি ভি আনন্দ বোসের সঙ্গে সংঘাতের সূত্রপাত হয়েছে। এর জেরে তাকে রাজভবনে প্রবেশের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
সূত্র: বিবিসি বাংলা