প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২ মে, ২০২৪, ৬:৩১ অপরাহ্ন
ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধে রাশিয়ার বিরুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এই কাজ করতে গিয়ে আন্তর্জাতিক আইনকে মস্কো বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে বলে দাবি ওয়াশিংটনের।
আমেরিকার স্টেট ডিপার্টমেন্টের কর্মকর্তারা বলেছেন, রাশিয়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধে জয়ী হতে শ্বাসরোধকারী এজেন্ট ক্লোরোপিক্রিন গ্যাস ব্যবহার করেছে। ক্রেমলিন এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে ভিত্তিহীন বলেছে।
মস্কোতে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময়, ক্রেমলিনের মুখপত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছিলেন যে, রাশিয়া আন্তর্জাতিক আইনের সবগুলো বাধ্যবাধকতাগুলো মেনে চলে। নিষিদ্ধ সব ধরনের অস্ত্র ও রাসায়নিক দ্রব্যে প্রস্তুত ও উৎপাদনকে কঠোরভাবে নিরুৎসাতি করে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের অভিযোগের কোনই সত্যতা নেই এবং একই সঙ্গে ভিত্তিহনীও বটে।
গতকাল বুধবার এক বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানায়, যুদ্ধক্ষেত্রে ইউক্রেনীয় সেনাদের বিরুদ্ধে শ্বাসরোধকারী এজেন্ট ক্লোরোপিক্রিন গ্যাস ও টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করছে রাশিয়া যা আন্তর্জাতিক রাসায়নিক অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনের সমতুল্য। যুদ্ধক্ষেত্রে এই ধরনের রাসায়নিক বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। রুশ সেনারা সুরক্ষিত অবস্থান থেকে ইউক্রেনীয় সেনাদের সরিয়ে দিতে এবং যুদ্ধক্ষেত্রে জয়ী হতে এই রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করে থাকে।
এই গ্যাসের প্রভাবে ফুসফুস, চোখে এবং ত্বকে জ্বালাতন শুরু হয়, সরাসরি সংস্পর্শ হলে সপ্তাহ ধরে বমি এবং ডায়রিয়া হতে পারে। ক্লোরোপিক্রিন প্রথম বিশ্বযুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র হিসেবে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়েছে। তবে বর্তমানে এর সামরিক ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হলেও কৃষিকাজে ব্যবহার রয়েছে। রাশিয়া সব সময়েই বলে আসছে, যুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করে না তারা।
গ্যাস হামলায় বেঁচে যাওয়া দুইজন ইউক্রেনীয় সৈন্য সিএনএনকে জানিয়েছে, ক্লোরোপিক্রিন গ্যাসে আক্রান্ত হওয়ার পর তাদের মুখে এবং গলার ভেতরে পোড়া ক্ষত তৈরি হয়েছে এবং শরীরে ফুসকুড়ি দেখা দিয়েছে। ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর দাবি, তারা এক হাজারেরও বেশি হামলার ঘটনা রেকর্ড করেছে যেখানে রাশিয়া যুদ্ধক্ষেত্রে নিষিদ্ধ রাসায়নিক অস্ত্র দিয়ে তৈরি টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করেছে।
মস্কোতে ইউক্রেন থেকে জব্দ সমরাস্ত্রের প্রদর্শনী!মস্কোতে ইউক্রেন থেকে জব্দ সমরাস্ত্রের প্রদর্শনী!
হেগ-ভিত্তিক অর্গানাইজেশন ফর দ্য প্রোহিবিশন অব কেমিক্যাল ওয়েপন্স (ওপিসিডব্লিউ) ক্লোরোপিক্রিনকে একটি নিষিদ্ধ শ্বাসরোধকারী উপাদান হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় রাসায়নিক অস্ত্র হিসেবে এই গ্যাস প্রথম ব্যবহার করেছিলো জার্মানি।