প্রকাশ: সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১:৫৭ অপরাহ্ন
গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ চলছে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে। বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস বর্জন করেছেন শিক্ষার্থীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শত শত শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করছে দেশটির পুলিশ।
চএক প্রতিবেদনে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ক্যাম্পাসগুলো থেকে কমপক্ষে ৯০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে শুধু শনিবারই (২৭ এপ্রিল) বোস্টনের নর্থ-ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি, অ্যারিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটি, ব্লুমিংটনের ইন্ডিয়ানা ইউনিভার্সিটি এবং সেন্ট লুইসের ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটিতে চলা বিক্ষোভ থেকে ২৭৫ জনেরও বেশি বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মার্কিন সংবাদসংস্থা এপির আরেকটি প্রতিবেদন বলছে, গত ১৮ এপ্রিল কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিলিস্তিনপন্থী একটি শিবির সরিয়ে নেয় নিউইয়র্ক পুলিশ। পাশাপাশি শতাধিক বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয় সেখান থেকে। এ ঘটনার পর ফুঁসে ওঠে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ‘গণহত্যা থেকে বিচ্ছিন্ন’ থাকার আহ্বান জানান বিক্ষোভকারীরা। যেসব প্রতিষ্ঠান অস্ত্র সরবরাহসহ বিভিন্ন উপায়ে গাজায় ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলায় সহযোগিতা করছে, সেসব প্রতিষ্ঠানের বৃত্তি না দেওয়ার দাবিও তুলেছেন তারা।
এদিকে ক্যালিফোর্নিয়া, জর্জিয়া এবং টেক্সাসের বিশ্ববিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি সদস্যরা বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের প্রতি তাদের সমর্থন প্রকাশ করেছেন এবং মার্কিন নেতৃত্বের প্রতি অনাস্থা ভোট গ্রহণ করেছেন।
প্রসঙ্গত, হামাস নির্মূলের নামে গত সাড়ে ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েলের সামরিক অভিযান ও নির্বিচার হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৫ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন অবরুদ্ধ গাজায়। নিহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে এ সময়ে আহত হয়েছেন ৭৭ হাজারের বেশি মানুষ। এরই মধ্যে গাজায় দখলদার ইসরায়েলের এই নির্বিচার আগ্রাসন ও ধ্বংসযজ্ঞকে ‘গণহত্যা’ বলে আখ্যায়িত করেছে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মহল। ফিলিস্তিনি অধ্যুষিত ভূখণ্ডটিতে মানবিক বিপর্যয়ের এমন পরিস্থিতিতেও ইসরায়েলকে সরাসরি মদদ দিয়ে যাচ্ছে মার্কিন প্রশাসন। ইসরায়েলের জন্য অস্ত্র ছাড়াও বড় অর্থনৈতিক সহায়তা বরাদ্দ অব্যাহত আছে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে।