প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১১ এপ্রিল, ২০২৪, ৫:১৫ অপরাহ্ন
আফগানিস্তানে ফেসবুক নিয়ন্ত্রণ বা সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করার পরিকল্পনা করছে তালেবান সরকার। এতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার কথা বলা বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠন। তারা তালেবান প্রশাসনকে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছেন।
টেলিযোগাযোগ ও তথ্যমন্ত্রী নাজিবুল্লাহ হাক্কানি গত সপ্তাহে স্থানীয় একটি টিভি নিউজ চ্যানেলে ঘোষণা করেন, তিনি তালেবানের অনুমোদনের অপেক্ষায় থাকা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রবেশ সীমাবদ্ধ করার প্রস্তাব চূড়ান্ত করেছেন। খবর ভয়েস অব আমেরিকার।
কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস বা সিপিজে তালেবানকে এমন কোনো পদক্ষেপ না নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে। তারা বলেছে, এটি আফগানিস্তানে তথ্যের প্রবাহকে আরও বাধাগ্রস্ত করবে।
সোমবার জারি করা এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এডভোকেট ফর মিডিয়া ফ্রিডম আফগান সংবাদ সংস্থাগুলোর আফগানিস্তানে সংবাদ এবং তথ্য প্রচারের জন্য ফেসবুকের ব্যাপক ব্যবহারের বিষয়টি তুলে ধরেছিল।
সিপিজের বিবৃতিতে তালেবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদকে উদ্ধৃত করা হয়। তিনি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক নজরদারি গোষ্ঠীকে বলেছেন, 'ফেসবুক নিষিদ্ধ করা হবে না, তবে এর ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে।'
তালেবান কর্মকর্তারা বিবৃতি ঘোষণা করতে এবং আফগানিস্তানে অর্থনৈতিক, নিরাপত্তা সংক্রান্ত এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার প্রচারের জন্য ফেসবুক এবং এক্সসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো ব্যবহার করে।
প্রায় তিন বছর আগে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির নিয়ন্ত্রণ ফিরে পাওয়ার পর থেকে তালেবান অনেক সাংবাদিককে আটক করেছে। এছাড়া অনেক নিউজ সাইট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অধিকার কর্মীরা বলছেন, এই নিষেধাজ্ঞা আফগানিস্তানে গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে মারাত্মকভাবে খর্ব করেছে।
আরও পড়ুন: বিশ্বে তোলপাড় ফেলেছে আফগানিস্তানের পানীয়, কিনছে যুক্তরাষ্ট্রও
গত ফেব্রুয়ারিতে কান্দাহার প্রদেশের তালেবান গভর্নর তার কর্মী ও নিরাপত্তা বাহিনীকে আনুষ্ঠানিক বা অনানুষ্ঠানিক বৈঠকের সময় ছবি বা ভিডিও ধারণের অনুমতি না দিতে নির্দেশ দেন।
ওই মাসের শেষের দিকে প্রমোশন অফ ভার্চু অ্যান্ড প্রিভেনশন অফ ভাইস বিষয়ক মন্ত্রী রাজধানী কাবুলে একটি বৈঠকে গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে, তারা যদি কঠোর পোশাক নীতি মেনে না চলেন তাহলে নারী সাংবাদিক এবং অতিথিদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের সম্ভাবনা রয়েছে।