প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১১:৪০ পূর্বাহ্ন
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে প্রায় সাড়ে ৩২ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ইসরায়েলি বাহিনীর অবিরত হামলায় আহত হয়েছেন প্রায় ৭৫ হাজার।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর দিয়েছে।
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ফিলিস্তিনি নিহতের সর্বশেষ সংখ্যা উল্লেখ করে উপত্যকাটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি আগ্রাসনে সর্বশেষ একদিকে গাজায় আরও ৭৬ জন নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে ৭ অক্টোবর থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত ৩২ হাজার ৪৯০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন ৭৪ হাজার ৮৮৯ জন ফিলিস্তিনি। অনেক ভুক্তভোগী এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছেন এবং উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় হামাস। এর জবাবে সেদিন থেকেই গাজায় বিমান হামলা শুরু করে দখলদার ইসরায়েল। পাশাপাশি স্থল অভিযানও চালানো হয়। সাড়ে পাঁচ মাসেরও বেশি সময়ে ফিলিস্তিনি ছিটমহলটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। পানি, খাবার ও নিরাপদ স্থানের অভাবে গাজাবাসী ক্রমাগত মরিয়া পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছে।
গাজায় ইসরায়েলের টানা ৪৭ দিনের হামলার পর গত বছরের ২৪ নভেম্বর প্রথম দফায় চার দিনের যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। এ যুদ্ধবিরতিতে মধ্যস্থতা করে কাতার, মিসর ও যুক্তরাষ্ট্র। এরপর দুই দফায় মোট তিন দিন বাড়ানো হয় যুদ্ধবিরতির মেয়াদ।
সাত দিনের যুদ্ধবিরতি শেষ হতে না হতেই আবারও গাজায় আবার হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এর পাশাপাশি স্থল অভিযানও চালানো হচ্ছে।
ইসরায়েলি বাহিনীর এমন আচরণে বিশ্বজুড়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে। যুদ্ধ বন্ধের বদলে মিশরের সীমান্তবর্তী রাফা শহরে স্থল অভিযানের হুমকি পুনর্ব্যক্ত করেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। যেখানে হামলার মুখে গাজার অন্যান্য এলাকা থেকে প্রায় ১০ লাখের বেশি বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছেন।
কঠোর অবরোধ ও অবিরাম হামলার মধ্যে থাকা গাজাবাসীরা অনাহারে ভুগতে ভুগতে দুর্ভিক্ষের প্রান্তে চলে গেছে। ইতোমধ্যেই অপুষ্টি ও পানিশূন্যতায় শিশুসহ অনেকের মৃত্যু হয়েছে। ক্ষুধায় বেপরোয়া হয়ে ওঠা লোকজন ত্রাণের জন্য হাহাকার করছে।