প্রকাশ: শুক্রবার, ৮ মার্চ, ২০২৪, ৫:০৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: শুক্রবার, ৮ মার্চ, ২০২৪, ৫:০৫ অপরাহ্ন
মিডিয়া মোগল ও ধনকুবের রুপার্ট মারডকের সঙ্গে তার প্রেমিকা এলেনা জুকোভার বাগদান হয়েছে। ষষ্ঠবারের মতো বাগদান করেছেন এই মিডিয়া টাইকুন। তার প্রেমিকার বয়স ৬৭ বছর, যিনি একজন অবসরপ্রাপ্ত রাশিয়ান আণবিক জীববিজ্ঞানী। শুক্রবার (৮ মার্চ) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিডিয়া টাইকুন রুপার্ট মারডক তার বান্ধবীর সাথে বাগদান করেছেন বলে তার দল নিশ্চিত করেছে। ৯২ বছর বয়সী এই ধনকুবের তার রাশিয়ান বান্ধবী এলেনা জুকোভার সাথে কয়েক মাস ধরে ডেটিং করছেন বলে জানা গেছে।
বাগদানের পর বিয়ের অনুষ্ঠানটি চলতি বছর ক্যালিফোর্নিয়ায় মারডকের মোরাগা ভিনেয়ার্ড অ্যান্ড এস্টেটে অনুষ্ঠিত হতে পারে। সর্বশেষ বাগদানটি মারডকের ষষ্ঠ বাগদান হলেও বিয়েটি হবে মারডকের পঞ্চম বিয়ে।
গত বছর ফক্স অ্যান্ড নিউজ কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান পদ থেকে সরে দাঁড়ান রুপার্ট মারডক। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসই প্রথম তার বাগদানের এই খবরটি সামনে আনে।
প্রভাবশালী এই সংবাদমাধ্যমটির মতে, চলতি বছরের জুনে মারডকের এই বিবাহ হবে বলে নির্ধারিত হয়েছে এবং আমন্ত্রণপত্রগুলো ইতোমধ্যেই পাঠানো হয়েছে।
এর আগে, গত বছরের এপ্রিলে আকস্মিকভাবে নিজেদের বাগদান বাতিল করেন রুপার্ট মারডক ও অ্যান লেসলি স্মিথ। সেবছর গ্রীষ্মের শেষেই যুক্তরাষ্ট্রে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল।
তবে সাবেক ওই নারী পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে বাগদান বাতিলের পর থেকেই রুশ বিজ্ঞানী এলেনা জুকোভার সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ান বংশোদ্ভূত মারডক ডেট করছিলেন বলে গুজব ছড়িয়ে পড়ে।
জানা গেছে, নিজের সাবেক স্ত্রী চীনা বংশোদ্ভূত উদ্যোক্তা ওয়েন্ডি ডেংয়ের আয়োজিত একটি পার্টিতে জুকোভার সঙ্গে মারডকের দেখা হয়েছিল বলে।
মারডকের অন্যান্য সাবেক স্ত্রীরা হলেন— অস্ট্রেলিয়ান ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট প্যাট্রিসিয়া বুকার, স্কটিশ বংশোদ্ভূত সাংবাদিক আনা মান, ওয়েন্ডি ডেং এবং মার্কিন মডেল ও অভিনেত্রী জেরি হল।
মারডকের বাগদত্তা জুকোভারও এর আগে রাশিয়ার তেল ব্যবসায়ী আলেক্সান্ডার জুকোভের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল।
উল্লেখ্য, নিউজ করপোরেশনের প্রতিষ্ঠাতা মারডক ১৯৫০-এর দশকে অস্ট্রেলিয়ায় তার ক্যারিয়ার শুরু করেন। ১৯৬৯ সালে তিনি যুক্তরাজ্যে নিউজ অব দ্য ওয়ার্ল্ড ও দ্য সান নামের সংবাদপত্র দুটি কিনেছেন। পরে নিউইয়র্ক পোস্ট এবং ওয়াল স্ট্রিট জার্নালসহ কয়েকটি মার্কিন সংবাদ প্রতিষ্ঠান কিনে নেন মারডক।
এরপর ১৯৯৬ সালে তিনি ফক্স নিউজ চালু করেন। এটি এখন এমন একটি টিভি নিউজ চ্যানেল যা যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি দেখা হয়। ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত নিউজ করপোরেশনের আওতায় মারডক কয়েক শ স্থানীয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মিডিয়া প্রতিষ্ঠানের মালিক।
গত বছর ফক্স ও নিউজ করপোরেশনের চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি পদত্যাগ করে ছেলে লাচলানের হাতে দায়িত্ব ছেড়ে দেন। পরে এ দুই প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ইমেরিটাস হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন।