প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ২:১২ অপরাহ্ন
একটা সময় দক্ষিণ আফ্রিকার বোল্যান্ড ক্রিকেট দলের হয়ে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট খেলা শুরু করেছিলেন মারাইস এরাসমাস। সেখান থেকে আজ তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অন্যতম সেরা আম্পায়ার। এই যাত্রাপথ খুব একটা সহজ না হলেও যথেষ্ট অভিজ্ঞতায় যে পরিপূর্ণ ছিল, তা বলা যেতেই পারে।
২০০৬ সালে আম্পায়ার হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথমবার পা রাখেন এরাসমাস। এরপর তার এই ১৮ বছরের ক্যারিয়ারকে ইতি টানার ঘোষণা দিয়েছেন মারাইস। ওয়েলিংটনে শুরু হওয়া নিউজিল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া টেস্টই হবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার শেষ ম্যাচ। তার অবসরের বিষয়টি এক প্রতিবেদনে জানায় ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজ।
এরাসমাস ক্রিকবাজকে জানান, নিজের অবসরের ব্যাপারে এই সিদ্ধান্তটা গত বছরের অক্টোবরেই নিয়ে ফেলেছিলেন তিনি। এরইমধ্যে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা-আইসিসিকেও জানিয়ে দিয়েছেন; এপ্রিলে চুক্তির মেয়াদ শেষ হলে আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের আম্পায়ারিংয়ে থাকছেন না এরাসমাস।
তার অবসরে আইসিসি এলিট প্যানেলে আম্পায়ারের সংখ্যা কমে হলো ১১। এখন এই প্যানেলে একমাত্র দক্ষিণ আফ্রিকান হিসেবে থেকে যাচ্ছেন অ্যাড্রিয়ান হোল্ডস্টক।
২০১৬, ২০১৭ ও ২০২১ সালে আইসিসি বর্ষসেরা আম্পায়ারের পুরস্কার (ডেভিড শেফার্ড ট্রফি) জেতেন ৬০ বছর বয়সী এই দক্ষিণ আফ্রিকান। তার আম্পায়ারিং ক্যারিয়ারের শুরুটা ২০০৬ সালে। সে বছরের ফেব্রুয়ারিতে জোহানেসবার্গে অস্ট্রেলিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকা টি-টোয়েন্টি ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আম্পায়ারিংয়ের অভিষেক হয় এরাসমাসের।
গত দেড় যুগে তিন সংস্করণ মিলিয়ে মোট ৩৭৮টি ম্যাচ পরিচালনায় ছিলেন এরাসমাস। যার মধ্যে ১২৫ টেস্ট, ১৯২ ওয়ানডে, ৬১ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ ছিল। এছাড়া নারীদের ক্রিকেটের ৭৯টি ম্যাচ পরিচালনা করেছেন তিনি। দুটি ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালও পরিচালনায় দেখা গেছে তাকে।
২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার রুডি কোয়ের্তজেন আম্পায়ারিং থেকে অবসর নিলে তার জায়গায় আইসিসির এলিট প্যানেলভুক্ত হন এরাসমাস। গেল বছরে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার ম্যাচে অ্যাঞ্জেলা ম্যাথিউসকে টাইমড আউট দেন এরাসমাস; যেটি ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথম।