প্রকাশ: বুধবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ৪:১৬ অপরাহ্ন
ফরিদপুরের ভাঙ্গার ছোট খাঁরদিয়া গ্রামে আলমগীর মাতুব্বর হত্যা মামলার আসামিরা জামিনে বেরিয়ে এসে নিহতের স্বজনদের মারপিট ও মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
আজ বুধবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন নিহতের পরিবার ও স্বজনেরা। এসময় তারা হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেফতার ও নিরাপত্তার দাবি করেন। পরে তারা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেন।
সংবাদ সম্মেলনে নিহতের চাচা কাউসার মাতুব্বর (৫৫) অভিযোগ করেন, ২০২৩ সালের ১৩ মে দলবল নিয়ে বাড়িঘরে হামলা করে আলমগীর মাতুব্বরকে হত্যা করা হয়। এসময় নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও মালামাল লুট করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বিলকিস বেগম বাদি হয়ে ৫৭ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আরো দশ বারোজনের বিরুদ্ধে ভাঙ্গা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
কাউসার মাতুব্বর বলেন, হত্যা মামলার আসামিরা জামিনে বেরিয়ে এসে গত ১১ জানুয়ারি পান্নান মোল্লার (৪০) হুকুমে ছোট খাঁরদিয়া গ্রামে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা করে। এসময় তাকে সহ জাকারিয়া মাতুব্বর (৪২), ভাই ওহিদ মাতুব্বরকে (৩২) কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়।
এসময় একটি হামলার ওই ভিডিও ধারণ করে যা পরবর্তীতে বিভিন্ন টিভি ও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে হামলাকারীরা ওই শিশুকে খুঁজছে।
নিহতের স্ত্রী বিলকিছ বেগম বলেন, আমি এখনো স্বামী হত্যার বিচার পাইনি। এরইমাঝে মামলার আসামিরা জামিনে বেরিয়ে নিহতের স্বজনদের কুপিয়ে জখম করেছে। এখন মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছে।
তিনি বলেন, হামলার হুকুমদাতা অনেক টাকা পয়সার মালিক। তারা গ্রামে নানা কথাবার্তা ছড়িয়ে বেড়াচ্ছে। থানায় মামলা করলেও তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছেনা। এসব ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত ও উপযুক্ত বিচার দাবি করেন।
এদিকে সরেজমিনে ছোট খাঁরদিয়া গ্রামে যেয়ে জানা যায়, ছোট খাঁরদিয়া গ্রামের একসময় হতদরিদ্র কতিপয় ব্যক্তিকে অর্থ সাহায্যের মাধ্যমে মালয়েশিয়া নিয়ে যান। পরে তারা দেশে ফিরে কিছু জায়গাজমি কিনেন। ওই জমির সাথে তারা আরো কিছু জমি দখলের চেষ্টা চালান। এনিয়েই সেখানে এসব খুন জখমের ঘটনা ঘটছে এখন।