প্রকাশ: সোমবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ৫:২৩ অপরাহ্ন
ন্যাটোর ঐক্য ও ইউক্রেনের জন্য সহায়তা কেন যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থে গুরুত্বপূর্ণ, তার পক্ষে একাধিক যুক্তির মাধ্যমে ট্রাম্প শিবিরের মন জয় করার চেষ্টা করছেন পশ্চিমা নেতারা। তাদের মতে, চীনের আধিপত্য রুখতেও এমন সংহতির প্রয়োজন।
মার্কিন আর্থিক সহায়তা ছাড়া ইউক্রেনের পক্ষে যে রাশিয়ার হামলা মোকাবিলা করা সহজ নয়, তা সম্প্রতি স্পষ্ট হয়ে গেছে। বিশেষ করে গোলাবারুদ কমে যাওয়ায় ইউক্রেনের সেনাবাহিনী প্রয়োজনমতো হামলার জবাব দিতে পারছে না। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বৈদেশিক সহায়তা বিলের অংশ হিসেবে ইউক্রেনের জন্য ৬০০ কোটি ডলার মঞ্জুর করতে চান। কিন্তু রিপাবলিকান দলের ট্রাম্পপন্থী সংসদ সদস্যদের কারণে নিম্নকক্ষে সেই প্রস্তাব এখনো অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। সেই বিলম্বের খেসারত দিতে হচ্ছে ইউক্রেনকে। খবর ডয়চে ভেলের।
মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দিতে এসে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি মরিয়া হয়ে আরও সহায়তার আবেদন জানিয়েছেন। সেখানে উপস্থিত মার্কিন প্রতিনিধিদলও ইউক্রেনের প্রতি সহানুভূতি দেখিয়েছে। জার্মানি, ফ্রান্সসহ ইউরোপের অন্যান্য দেশ আরও সহায়তার অঙ্গীকার করেছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রের মোটা অংকের সহায়তার বিকল্প পাওয়া যায়নি। এমনকি ইউরোপ এখনো নিজস্ব অঙ্গীকার পুরোপুরি পালন করতে পারেনি।
শনিবার বাইডেন জেলেনস্কিকে বলেন, যে সংসদের নিম্ন কক্ষের অনুমোদন সম্পর্কে তিনি যথেষ্ট আশাবাদী। তার মতে, মার্কিন সহায়তার অভাবে ইউক্রেন রাশিয়ার কাছে আরো জমি হারাক, সেটা একেবারেই হতে দেওয়া চলে না। জেলেনস্কি মার্কিন প্রেসিডেন্টের সহায়তার প্রশংসা করে কংগ্রেসের ইতিবাচক সিদ্ধান্তের আশা প্রকাশ করেন।
বাইডেনের আমলেই ইউক্রেনের জন্য সহায়তায় এমন বিঘ্ন ঘটলে ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট হলে কী ঘটবে, সে বিষয়ে ইউরোপ ও ন্যাটোর শীর্ষ নেতারা গভীর দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। সামরিক জোট ন্যাটো সম্পর্কে ট্রাম্পের সাম্প্রতিক মন্তব্য তাদের দেশের নিজস্ব প্রতিরক্ষা কাঠামোর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত করে তুলেছে।