প্রকাশ: সোমবার, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ১২:৫৩ অপরাহ্ন
আজ সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, পালিয়ে আসা নাগরিকদের ফেরত নিতে বাংলাদেশের জলসীমায় প্রবেশের জন্য অপেক্ষা করছে মিয়ানমারের সামরিক জাহাজ। জাহাজটি এখনও বাংলাদেশের জলসীমায় প্রবেশের অনুমতি পায়নি। ফলে নাগরিকদের ফেরত নিতে আসতে পারছে না।
আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী, একটি দেশের নৌবাহিনীর কোনো জাহাজ আরেক দেশের জলসীমায় প্রবেশ করতে হলে অনুমতি নিতে হয়। ফলে ঢাকার সবুজ সংকেত পেলেই কেবল তারা বাংলাদেশ জলসীমায় প্রবেশ করতে পারবে।
রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক হয়। পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সভাপতিত্বে ওই বৈঠকে মিয়ানমারের পাঠানো জাহাজ নিয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকে উপস্থিত এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, নিজ নাগরিকদের ফেরত নিতে মিয়ানমারের জাহাজটি গত শুক্রবার থেকে সমুদ্রে অপেক্ষা করছে। চলতি সপ্তাহের মধ্যেই জাহাজটিকে অনুমতি দেওয়া হবে। মাঝসমুদ্র থেকে একসঙ্গে সবাইকে ফেরত পাঠানো হবে। এখন ফেরতের বিষয়ে নথিপত্র তৈরির কাজ চলছে। পুরো হস্তান্তর প্রক্রিয়া হবে বিজিবির মাধ্যমে। আশ্রয় নেওয়াদের মধ্যে আহত রয়েছে অনেকে, তাদেরও পাঠানো হবে।
উল্লেখ্য, গত কয়েক দিন ধরে রাখাইন সীমান্তে মিয়ানমারের সরকারি বাহিনী আর বিদ্রোহী আরাকান আর্মির সংঘাত চলছে। সংঘাত চলাকালে প্রায় দুই ব্যাটালিয়ানের অফিসার, সৈনিক, মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ এবং কয়েকটি পরিবারের সদস্যরা বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন। প্রথমে তাদের বিমানে ফেরত পাঠাতে চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু এতে মিয়ানমার রাজি হয়নি। পরে সমুদ্রপথে তাদের ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়।
মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা দেশটির বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যসহ মোট ৩৩০ নাগরিককে টেকনাফের দুটি স্কুলে রাখা হয়েছে। বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের তত্ত্বাবধানে তারা সেখানে রয়েছেন।