প্রকাশ: বুধবার, ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ১২:৫৭ অপরাহ্ন
রমজানে পণ্যের দাম বৃদ্ধির পেছনে কেবল কৃক্রিম সংকট সৃষ্টিকারীই নয় বরং ভোক্তাদেরও দায় রয়েছে বলে মনে করে ব্যবসায়ী ও বিশ্লেষকরা।
ব্যবসায়ী ও বিশ্লেষকরা বলছেন, রমজানে পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কায় অনেক ভোক্তা পুরোমাসের বাজার একসঙ্গে করেন। আর এতেই সৃষ্টি হয় সংকট। চাহিদা বুঝে লাগামহীন দাম বৃদ্ধির সুযোগ নেন অসাধু ব্যবসায়ীরা।
সহমর্মিতা ও আত্মসংযমের মহান এই শিক্ষার মাসেই (রমজান) অসিহষ্ণু আচরণ করতে দেখা যায় অনেক রোজাদারকে। তারা তিন-চার দিন কিংবা সপ্তাহ নয়, বরং রমজানে পরিবারের জন্য পুরো মাসের নিত্যপণ্য এক সঙ্গে কেনেন। এতেই সমস্যা সৃষ্টি হয়।
দোকানিদের অভিযোগ, ভোক্তারা এক মাসের বাজার একসঙ্গে করতে চায়। তখন চাহিদা বেশি থাকায় বিক্রিও বেশি হয়। এই সুযোগেই পাইকারি ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দেয়। ভোক্তাদের এমন অধৈর্য আচরণেই মূলত পণ্যের দাম বৃদ্ধিকে আরও বেশি উসকে দেয়।
বাজার বিশ্লেষক কাজী আব্দুল হান্নান বলছেন, ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি অনেক ভোক্তাও মাল স্টক করে রাখেন। তাদের এমন আচরণে বাকি ভোক্তাদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। এ অবস্থায় রোজাদারদের আরও মিতব্যয়ী হওয়ার পাশাপাশি বাজার স্থিতিশীল রাখতে কেনাকাটায় আরও বেশি সহনশীল হতে হবে।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, ভোক্তারা যদি তিন বা সাত দিনের পণ্য একসঙ্গে কেনেন তাহলে ব্যবসায়ীরা চাইলেও এবার অতিরিক্ত দাম বাড়াতে পারবে না।
এদিকে খুচরা বাজারের চেয়ে ২০ শতাংশ কম দামে পণ্য কেনার উপায় বাতলে দিলেন ক্যাবের সভাপতি গোলাম রহমান।
তিনি বলেন, রমজানের পণ্য সুনির্দিষ্ট। তাই ভোক্তারা যদি সপ্তাহে একদিন পাইকারি বাজার থেকে একসঙ্গে পণ্য ক্রয় করেন তাহলে ২০ শতাংশের বেশি সাশ্রয় করা সম্ভব।
শুধু রমজানের পণ্য আমদানিতে বিশেষ শুল্ক ছাড়ের পরামর্শ অর্থনীতিবিদ ড. সায়েম আমীর ফয়সলের। তিনি জানান, তিন মাসের জন্য একটি বিশেষ শুল্ক মওকুফের ব্যবস্থা করা গেলে ভোক্তাদের সুবিধার পাশাপাশি ব্যবসায়ীরাও লাভবান হবেন।