গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ ডিড রাইটার সরকারি কলেজের ৬১ জন শিক্ষক-কর্মচারী বেসরকারী নিয়োগ থেকে সরকারী নিয়োগপত্র জমা দিয়েছেন।
গতকাল বুধবার কলেজের অধ্যক্ষ একেএমএ হাবীব সরকারের কাছে দিনভর উৎসবমুখর পরিবেশে সরকারী শিক্ষক-কর্মচারী হিসেবে তারা নিয়োগ পত্র জমা দিলেন।
সরকারীকৃত কলেজ শিক্ষক ও কর্মচারী আত্তীকরণ বিধিমালা ২০১৮এর বিধি-৫ এবং বিধি ৬ এর বিধান মোতাবেক তারা সরকারী নিয়োগ পান। এর আগে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা এর ৫ নভেম্বর ২০২৩ তারিখের ৩৭.০০.০০০০.০৮৫.১৫.১৪২(এ).২২-১০৯ স্মারক মুলে গত মঙ্গলবার কলেজের অধ্যক্ষ একেএমএ হাবীব সরকার নন-ক্যাডার প্রশাসনিক হিসেবে অধিদপ্তরের কার্যালয়ে সরকারী নিয়োগপত্র জমা দেন।
একই সাথে তিনি কলেজটির পূনরায় অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পান। কলেজের ৬১ জন শিক্ষক-কর্মচারীর মধ্যে একজন উপাধ্যক্ষ, ০৭ জন সহকারী অধ্যাপক, ৩১ জন প্রভাষক, একজন শরীরচর্চা শিক্ষক, একজন গ্রন্থাগারিক, একজন সহকারি গ্রন্থাগারিক, ৩ জন প্রদর্শক, তিনজন অফিস সহকারি, ৪ জন অফিস সহায়ক, ২ জন করে নিরাপত্তা কর্মী, একজন আয়া ও একজন পরিচ্ছন্নতা কর্মী রয়েছে।
সুন্দরগঞ্জ ডিড রাইটার সরকারী কলেজের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রভাষক (নন ক্যাডার) জাফর আলী সরকার জানান, সরকারি কলেজের প্রভাষক (নন ক্যাডার) হিসেবে যোগদান করার ফলে আমাদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ হলো।
কলেজের শরীরচর্চার শিক্ষক রফিকুল ইসলাম জানান, কলেজটি সরকারি হওয়ার সর্বশেষ কাজটি সম্পন্ন হওয়ায় আমরা সবাই গর্বিত এবং আনন্দিত।
কলেজের অধ্যক্ষ, একেএমএ হাবীব সরকার জানান, কলেজটি সরকারীকরণ হওয়ায় এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হলো, এর মাধ্যমে অত্র এলাকার শিক্ষার্থীরা উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে আরও নতুন সুযোগ পাবে। কলেজটি সরকারী করণ করায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতি কৃতজ্ঞতা পোষণ করেন।
এরআগে প্রয়াত সাংসদ মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের কবর জিয়ারত করেন সরকারি কলেজের সকল শিক্ষক, কর্মচারি ও সাংসদ লিটনের স্ত্রী এবং উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি সৈয়দা খুরশিদ জাহান স্মৃতি।
উল্লেখ্য ১৯৭০ সালে কলেজটি প্রতিষ্ঠার পর সুন্দরগঞ্জ ডি ডব্লিউ ডিগ্রি কলেজ নামে কার্যক্রম চলে আসছিল। পরে ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের ৮ই আগস্ট থেকে কলেজটিকে সরকারি করণের ঘোষণা করা হলে নতুন নাম দেওয়া হয় সুন্দরগঞ্জ ডিড রাইটার সরকারি কলেজ।