প্রকাশ: বুধবার, ৩১ জানুয়ারি, ২০২৪, ৭:১৭ অপরাহ্ন
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ঢেপা গ্রামে কলমি শাকের বীজ মাড়ায়ের শ্রমিক খরচ নিয়ে মালিক ও শ্রমিক পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে নারীসহ উভয় পক্ষের ১৩ জন আহত হয়েছে। আহতদের মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলো, মালিক পক্ষের জেলেহার মন্ডলের ছেলে মজিবর (৫০), দেলোয়ার মন্ডলের ছেলে জিবার মন্ডল (৫৫), নুর ইসলামের ছেলে আশাদুল (৪৮), আশাদুলের ছেলে নয়ন (২০), জেলেহার মন্ডলের ছেলে নুর ইসলাম (৬৪), মজিবরের ছেলে আলামিন (২৬) ও বায়জিদ আলীর ছেলে ফরজ আলী (৩৫)।
শ্রমিক পক্ষের আহতরা হলো, রেজাউল ইসলামের ছেলে হযরত আলী (৬০), উসমানের ছেলে স্বপন (২৩), রেজাউলের ছেলে উসমান (৫০) ও হুমায়ন (৪০), মৃত খুকাই শেখের ছেলে রেজাউল (৮৮), রেজাউল হকের স্ধসঢ়;ত্রী হালিমা খাতুন (৮৪)। তাদের বাড়ি ঢেপা গ্রামের পাঙ্গাসী পাড়ায়।
আহতদের সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার মজিবরের ১৩ কাঠা জমির কলমি শাকের বীজ মাড়ানোর জন্য চুক্তি নেয় রেজাউল হকরা। বিঘা প্রতি জমিতে আড়াই হাজার টাকার চুক্তি হয়। শ্রমিকের টাকা পরিশোধ করতে গিয়ে মজিবর অভিযোগ করেন মাড়াই খরচ বেশি নেওয়া হচ্ছে। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।
আজ বুধবার (৩১ জানুয়ারি) সকালে গ্রামের একটি চায়ের দোকানে উভয় পক্ষ চা পান করছিলো। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে আবারও বাকবিতন্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে লাঠিশোঠা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে উভয় পক্ষ। এতে দু’পক্ষের ১৩ জন আহত হয়।
স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। আহতদের নুর ইসলামের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে রাজশাহি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম জানান, এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।