একদিকে চলছে যুদ্ধবিরতির বৈঠক; অপরদিকে দক্ষিন গাজায় স্বাধীনতাকামী হামাস যোদ্ধাদের সঙ্গে তুমুল লড়াই চলছে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর।
যুদ্ধবিরতির আলোচনায় ইসরায়েল, মিশর ও কাতারের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (সিআইএ) প্রধান।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, দক্ষিণ গাজায় এখনকার মূল যুদ্ধক্ষেত্র খান ইউনুসে।
হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, খান ইউনুসে গতকাল রোববার ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ২৪ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া এই এলাকা থেকে দিনভর গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে।
অন্যদিকে, প্যারিসে মিসর, ইসরায়েল ও কাতারের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সিআইএ’র পরিচালক উইলিয়াম বার্নস বৈঠক করেছেন। ইসরায়েল গঠনমূলক আলোচনার খবর জানিয়েছে।
তবে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আলোচনায় এখনও উল্লেখযোগ্য ফাঁক রয়ে গেছে। আগামী দিনগুলোতে আরও আলোচনা চলবে।
একটি নিরাপত্তা সূত্র নিশ্চিত করেছে, যুদ্ধবিরতির বিনিময়ে হামাসের কাছ থেকে জিম্মিদের মুক্তির জন্যে আলোচনা করতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বার্নসকে প্যারিসে পাঠিয়েছেন।
এদিকে, যুদ্ধের তীব্রতার কারণে জাতিসংঘ মহাসচিব এন্তোনিও গুতেরেস জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থার প্রতি সহযোগিতা আরও বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার সঙ্গে জাতিসংঘের কর্মীরা জড়িত ছিল বলে ইসরায়েলি অভিযোগের পর যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানিসহ কয়েকটি দাতা দেশ ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থার জন্য তহবিলে অর্থ দেয়া আপাতত বন্ধ করে দিয়েছে।
এই প্রেক্ষিতে গুতেরেস দাতা দেশগুলোর প্রতি আবশ্যকীয় সহায়তা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, গাজার বেঁচে থাকতে মরিয়া জনগোষ্ঠীর তীব্র চাহিদা অবশ্যই পূরণ করতে হবে।
জাতিসংঘের ফিলিস্তিনী শরণার্থী সংস্থার (ইউএনআরডব্লিউএ) প্রধান ফিলিপ লাজারিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, তহবিল কমানোর অর্থ হলো গাজার ত্রাণ কার্যক্রমকে ধ্বংসের কাছাকাছি নিয়ে যাওয়া।
জাতিসংঘে ইসরায়েলি দূত গিলাদ এরদান বলেছেন, ইউএনআরডব্লউএ-কে দেওয়া তহবিল সন্ত্রাসী কাজে ব্যয় হবে। গিলাদ দাতাদের সংস্থাটির কর্মকাণ্ড নিয়ে পুরো তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলেছেন।