প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২৫ জানুয়ারি, ২০২৪, ৯:১৯ অপরাহ্ন
৭ই অক্টোবর ইসরাইলে হামাসের হামলার পর থেকে অভিযানের নামে ইসরাইলি বাহিনী গাজায় হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে আসছে।
গতকাল বুধবার গাজায় জাতিসংঘের একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছে বলে জানা যায়। এ হামলায় আহত হয়েছে ৭৫ জন। যদিও হামলার বিষয়টি অস্বীকার করেছে তেল আবিব।
প্রাণ বাঁচাতে খান ইউনিসের বৃহত্তম এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছিল প্রায় ৪০ হাজার ফিলিস্তিনি। যুদ্ধের মৌলিক আইন লঙ্ঘিত হয়েছে উল্লেখ করে এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থা।
জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক সমন্বয়ক জানান, ‘প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে হামলায় বেশ কয়েকজন হতাহত হয়েছে। কিছু ভবন আগুনে পুড়ে গেছে। অনেকে ঘটনাস্থল থেকে পালানোর চেষ্টা করেছে। কিন্তু চারপাশ জুড়েই ইসরায়েলি সেনা থাকায় পালানোর সাহস পায়নি তারা। সেখানকার পরিস্থিতি সত্যিই দুঃখজনক।’
এদিকে গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতির বিষয়টি নাকচ করে দিয়েছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি সরকারের মুখপাত্র ইলানা স্টেইন বলেন, ‘গাজায় কোনো যুদ্ধবিরতি হবে না। মানবিক উদ্দেশ্যে সেখানে বিরতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু হামাস সেই চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। হামাস নিমূর্ল ও জিম্মিদের মুক্ত না করা পর্যন্ত আমাদের লড়াই চলবে।’
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে রাফা সীমান্ত দিয়ে গাজায় ত্রাণ প্রবেশে বাধাদানের অভিযোগ এনেছে মিশর। এর মাধ্যমে তেল আবিব ত্রাণকে ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে বলে মন্তব্য করেন মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি।
গাজায় সংঘাত নিয়ে বৈঠক করেছে তুরস্ক ও ইরান। দ্বি-রাষ্ট্রের ভিত্তিতে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন দ্বন্দ্বের সমাধান এবং অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে দুই দেশ। সেই সাথে গাজায় বেসামরিক হত্যার জন্য আবারও আমেরিকাকে দায়ী করেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি।
এদিকে, জিম্মিদের অবিলম্বে মুক্তির দাবিতে আবারও তেল আবিবে বিক্ষোভ করেছে তাদের পরিবারের সদস্যরা। এসময় রাজধানীর প্রধান সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভকারীরা। তাদের অভিযোগ, জিম্মিদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনতে কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর প্রশাসন।