বুধবার ২৭ নভেম্বর ২০২৪ ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
 

ভারতের ভিত্তিহীন বিবৃতিতে ঘটনার ভুল উপস্থাপন হয়েছে: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়    চিন্ময় দাসের গ্রেপ্তার নিয়ে বিকৃত তথ্য ছড়াচ্ছে ভারত: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়    অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তার, বিচার নিশ্চিতের দাবি হাসনাত ও সারজিসের    চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যা প্রধান উপদেষ্টার নিন্দা, আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ    একদিনের ব্যবধানে সোনার দাম আরও কমলো    ২০১ রানের বড় হার বাংলাদেশের    চলতি মাসেই ডেঙ্গুতে মৃত্যু দেড়শ ছাড়িয়েছে   
রমজান উপলক্ষ্যে ভোগ্যপণ্যের আমদানি শুরু
প্রকাশ: বুধবার, ২৪ জানুয়ারি, ২০২৪, ১১:৩০ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: বুধবার, ২৪ জানুয়ারি, ২০২৪, ১১:৩৪ পূর্বাহ্ন

রমজানকে সামনে রেখে দেশে বিপুল পরিমাণ ভোগ্যপণ্যের আমদানি করা হয়েছে। খেজুর আর ডাল কিছুটা কম এলেও, গত মৌসুমের চেয়ে ইতোমধ্যে বেশি এসেছে চিনি, তেল ও ছোলা। 

ব্যবসায়ীরা বলছেন, কোনো কোনো পণ্য কম আমদানি হলেও রোজায় চাহিদা মেটানোর জন্য তা পর্যাপ্ত। তাই সংকটের কোনো সুযোগ নেই।

এক মাসের খানিকটা বেশি সময় বাকি রমজানের। তাই আমদানি হচ্ছে অত্যাবশ্যকীয় নানা পণ্য। সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রাম বন্দরে ৪০ হাজার ২৮৮ টন ছোলা নিয়ে খালাসের প্রক্রিয়ায় রয়েছে ২টি জাহাজ। রয়েছে ১৫ হাজার ৩৫১ টন ভোজ্যতেলবাহী ২টি ও ২৭ হাজার ১৪১ টন চিনিবোঝাই একটি জাহাজ।

চলতি মাসের প্রথম তিন সপ্তাহে বাল্কে আসা ছোলা, ডাল, তেল, খেজুরসহ ভোগ্যপণ্য খালাস হয়েছে ৬ লাখ ৭৭ হাজার ৫০৮ টন। ডিসেম্বরে যা ছিল ১২ লাখ ৫৬ হাজার ৩৮৯ টন। আর কন্টেইনারে করে জানুয়ারিতে আসে ৪৫ হাজার ৭৬৪ টন। তার আগে ডিসেম্বরে পৌঁছায় ৩৬ হাজার ৮৩৮ টন ভোগ্যপণ্য।

স্বস্তির খবর, সবশেষ গেল ৪ মাসে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে চিনি, খেজুর, তেল, ডাল ও ছোলা আমদানি হয়েছে ৯ লাখ ৯০ হাজার ৯১৫ টন। যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় পরিমাণে ওঠানামা করলেও চাহিদা বিবেচনায় তা পর্যাপ্ত। এতে করে সব পণ্যেরই মজুতে নেই ঘাটতি।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম সোহায়েল বলেন, অনেক পণ্য ইতোমধ্যে এসেছে। আবার কিছু পণ্য পাইপলাইনে আছে, যেগুলো আনা হচ্ছে আমাদের বন্দরের মাধ্যমে। যখনই এ ধরনের খাদ্যপণ্য আসে, তখন আমরা সেটাকে স্পেশাল পার্টিতে দেখি সবসময়। সেই জাহাজকে আমরা স্পেশাল পার্টি দিয়ে খালাস করি।

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের উপকমিশনার ব্যারিস্টার বদরুজ্জামান মুন্সি বলেন, মূলত বিলাসবহুল পণ্যের ক্ষেত্রে কিছুটা রেসট্রিকশন (বিধিনিষেধ) আরোপ করা হয়েছে। কিন্তু নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ওপর আমরা কোনো রেসট্রিকশন দেখতে পাচ্ছি না। যে কারণে গত বছরে যেভাবে পণ্য আমদানি হয়েছে, এবারও সেভাবেই আমদানি হচ্ছে।   

ডলার সংকটে এবার রমজানকে ঘিরে এলসি খোলা হয় তুলনামূলক কম। তবে যা হয়েছে, তাতে বেশি সুযোগ পেয়েছে বড় গ্রুপগুলো। যাদের হাত ধরে আমদানিও হয়েছে গেলবারের চেয়ে বেশি। কাজেই সংকটের কোনো কারণ নেই।

চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ শাখার ঢাকা ব্যাংকের ম্যানেজার (অপারেশনস) মেহের নিগার খান বলেন, আমাদের যেগুলো এক্সিস্টিং ক্লাইন্ট আছে, ওনারা যেভাবে চাচ্ছেন, আমাদের পক্ষ থেকে তাদের সেভাবে এলসিগুলো দিচ্ছি। পাশাপাশি অন্যান্য এলসির সঙ্গে আমরা ভোগ্যপণ্যের এলসিও দিয়ে থাকি। 

মজুমা ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী মো. মহিউদ্দিন বলেন, আমরা অনেক ব্যাংকে ধরনা দিয়েছি, আমাদের এলসি দেয় নাই। কিন্তু যারা বড় বড় শিল্প গোষ্ঠী আছে, তারা পর্যাপ্ত পরিমাণ মাল আনছে। সেজন্য বলছি, মালের কোনো সংকট হবে না। 

রমজানে দেশে ছোলার চাহিদা ১ লাখ ২০ হাজার টনের মতো। পাশাপাশি চিনি ৩ লাখ আর ভোজ্যতেল লাগে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ টন। এছাড়া খেজুরের চাহিদা থাকে ৫০ হাজার টনের।

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. আক্তার হোসেন রিন্টু
বার্তা ও বাণিজ্যিক বিভাগ : প্রকাশক কর্তৃক ৮২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক (৩য় তলা) ওয়্যারলেস মোড়, বড় মগবাজার, ঢাকা-১২১৭।
বার্তা বিভাগ : +8802-58316172. বাণিজ্যিক বিভাগ : +8801868-173008, E-mail: dailyjobabdihi@gmail.com
কপিরাইট © দৈনিক জবাবদিহি সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft