দেশের অর্থনীতিতে বড় কোনো সংকট নেই বলে মনে করে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)। চলমান যে সংকট তা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব বলে মনে করে সংগঠনটি।
শনিবার (২০ জানুয়ারি) ডিসিসিআই আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সংগঠনের সভাপতি আশরাফ আহমেদ। দেশের সমসাময়িক অর্থনীতির সার্বিক পরিস্থিতি এবং ২০২৪ সালে ডিসিসিআইর বর্ষব্যাপী কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কে জানাতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহ-সভাপতি মালিক তালহা ইসমাইল বারী এবং সহ-সভাপতি জুনায়েদ ইবনে আলী।
ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, এখন উচ্চ মূল্যস্ফীতি, রিজার্ভে অস্থিতিশীলতা, এলসি খোলার জন্য ডলারের অপর্যাপ্ততা, গ্যাস সংকটসহ কিছু সমস্যা আছে। তবে এগুলো সবই সমাধান সম্ভব।
এই ব্যবসায়ী নেতা বলেন, আমরা সব ওভারকাম করতে পারব। সে সক্ষমতাও আমাদের আছে। কোনো কাজে চ্যালেঞ্জ থাকবে না, এমন দুনিয়া হয় না। বারবার বাংলাদেশ এসব সমস্যার সমাধান করেছে, এটা প্রমাণিত সত্য।
আশরাফ বলেন, আগামী এক দশকে আমরা বিশ্বের ২০টি বড় অর্থনৈতিক দেশে পৌঁছাতে যাচ্ছি। এখন আমাদের গ্রোথ ১০ এ নেমেছে, কিন্তু চীনসহ অনেক দেশের গ্রোথ পাঁচ শতাংশের নিচে। আমাদের গ্রোথের সব ফান্ডামেন্টাল ভালো আছে, কিছু ক্ষুণ্ন হয়নি। প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত।
তবে তার মতে দেশের ব্যাংকিং খাতের লোন দেওয়ার প্রক্রিয়া টেকসই নয়। তিনি বলেন, এ খাতের লোন দেওয়ার সক্ষমতা বাড়াতে হবে। পাশাপাশি তারল্য বাড়ানো না গেলে বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ ও উন্নয়ন সম্ভব নয়।
আশরাফ আহমেদ বলেন, অর্থনীতির গতি ধরে রাখতে গ্যাসের সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। আমদানিনির্ভর জ্বালানি দীর্ঘ মেয়াদে স্বস্তি না দিলেও বর্তমানে এর কোনো বিকল্প নেই। সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগে দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান নাজুক। ২০৪১ সালে উন্নত দেশে পরিণত হতে হলে এখনই বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে হবে।
মূল্যস্ফীতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ সমস্যা আমাদের আগেও হয়েছে। সেটা আমরা ওভারকাম করেছি। আর বিবিএস (বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো) যে মূল্যস্ফীতির তথ্য দিচ্ছে সেটা নির্দিষ্ট কিছু বিষয় বিবেচনায়। পরিস্থিতি এতটা খারাপ নয়।
আশরাফ বলেন, মূল্যস্ফীতি সবাইকে পীড়া দেয় সত্য। তবে এটা সারাবিশ্বে প্রভাব ফেলেছে। আমাদের মূল্যস্ফীতি ছয় শতাংশ থেকে ১০ শতাংশ হয়েছে। কিন্তু বাকি দুনিয়ার তুলনায় সেটা অনেক ভালো অবস্থা।