প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০২৪, ৯:৩৭ অপরাহ্ন
গতকয়েক দিনে শীতের তীব্রতা বাড়ায় ফরিদপুরে শীত জনিত রোগীর হার বেড়ে গেছে। আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধদের সংখ্যায় বেশি।
গত কয়েক দিনে জেলার তাপমাত্রা ১১ থেকে ১৩ ডিগ্রী সেলসিয়াসের মধ্যে থাকায় শীতের তীব্রতা বেড়েছে। মঙ্গলবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর তিনদিন আগে ফরিদপুরে বছরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
একারণে হঠাৎ শীত জনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে অনেকে। গত এক সপ্তাহে ঠান্ডা,সর্দি, কাশী,হাপানী, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়াসহ শীত জনিত নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে ১ হাজারেরও বেশী শিশু বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। শহরের ডা. জাহেদ মেমোরিয়াল শিশু হাসপাতাল, জেনারেল হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল হাসপাতাল সহ জেলার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারী হাসপাতালে শীত ও ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত শিশু ও বয়স্ক রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। প্রতিটি হাসপাতালে সকাল থেকেই বহিবিভাগে শীত জনিত রোগে আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসা নিতে দেখা গেছে।
হঠাৎ শীত বেড়ে যাওয়ায় শিশুরা সর্দি, জ্বর, নিউমোনিয়া হচ্ছে। ছোট বাচ্চাদের গরম কাপড়ের মধ্যে রাখা গেলেও চঞ্চল শিশুদের শীতের মধ্যে ঘরে রাখা কষ্ট। কয়েকজন অভিভাবকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তারা রোগের প্রকোপ বাড়ার ফলে চিকিৎসকের দ্বারস্থ হয়েছেন।
ডা. জাহেদ মেমোরিয়াল শিশু হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আক্কাস আলী মন্ডল জানান, প্রতিদিনই তাদের হাসপাতালের বহিঃবিভাগে সকাল-বিকাল দুই শিফটে গড়ে প্রায় পাঁচশো থেকে ছয়শো রোগী আসছে। দুইশো বেডের হাসপাতালে জায়গা সংকুলান হয়না। তাদের আউটডোরে চিকিৎসা দিয়ে পাঠিয়েও দেয়া হচ্ছে।
জাহিদ মেমোরিয়াল শিশু হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. ফারহানা ফাতেমা বলেন, ঠান্ডার সময় বেশির ভাগ শিশুদের নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়াতে আক্রান্ত হচ্ছে। সিজেনাল ফ্লু'র কারণে বর্তমানে প্রকোপটা বেশি। তাই বাচ্চাদের ঠান্ডা লাগানো যাবেনা। ঘরের পরিবেশ কিছুটা উষ্ম রাখা, পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখা, শিশুরে রাইরের খাবার থেকে যতোটাসম্ভব বিরত রাখতে হবে। এছাড়া ঠান্ডা কমে গেলে শীত জনিত রোগের প্রকোপ কমে যাবে বলেও জানান এই চিকিৎসক।