প্রকাশ: শুক্রবার, ১২ জানুয়ারি, ২০২৪, ২:১০ অপরাহ্ন
মেলান্দহ ও মাদারগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত জামালপুর- ৩ আসন। এই আসনে ১৯৯১ সাল থাকে জনপ্রতিনিধিত্ব করছেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মির্জা আজম। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিপুল ভোট পেয়ে টানা সপ্তমবারের মত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। তার মোট প্রাপ্ত ভোট ২ লাখ ৭৬ হাজার ৪৫৩। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জাতীয় পার্টি থেকে মনোনীত মীর সামসুল আলম লিপটন লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৭ হাজার ৪৭০ ভোট।
এর আগে ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ বিরোধীদল নির্বাচনে অংশ না নিলে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় সংসদ নির্বাচিত হোন। সরকারের মন্ত্রী পরিষদের বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান।প্রতিমন্ত্রী হবার পর তিনি অবহেলিত জামালপুর তথা তার নির্বাচনী এলাকার চিত্র পাল্টে ফেলেন। বড় কয়েকটি প্রকল্পসহ সব মিলিয়ে কয়েক হাজার কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন করছেন তার নির্বাচনী এলাকায়। মির্জা আজমকে বলা হয় উন্নয়নের রূপকার।
২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি তার প্রতিমন্ত্রীত্ব হারান। এতে দলের নেতাকর্মীদের তখন শোকের ছায়া নেমে আসেম সেই শোক কাটিয়ে উঠে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে পদোন্নতির মধ্যে দিয়ে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে থেকেই দলের নেতাকর্মীদের প্রত্যাশা ছিল এবার মন্ত্রী সভায় মির্জা আজমকে পূর্ণমন্ত্রী রাখা হবে। কিন্তু মন্ত্রী পরিষদের শপথ অনুষ্ঠানে পরিস্কার হয় এবারো তাকে মন্ত্রী করা হচ্ছেনা। এই খবরটি ছড়িয়ে পড়লে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের মাঝে হতাশার চিত্র দেখা যায়।
মাদারগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষনা বিষয়ক সম্পাদক জাহিদুর রহমান উজ্জল বলেন, মেধাবী ও পরিশ্রমী নেতা মির্জা আজম। জামালপুরসহ পুরো দেশেই দলের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। এলাকাবাসীর কাছেও জনপ্রিয়। এই বর্ষীয়ান নেতা এবার মন্ত্রিত্ব পাবেন এমন আশায় বুক বেঁধেছিলেন নির্বাচনী এলাকার মানুষ। কিন্তু মন্ত্রীদের তালিকায় তাঁর নাম না থাকায় হতাশ তারা। মেলান্দহ - মাদারগঞ্জ তথা জামালপুর জেলার উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে মির্জা আজমকে মন্ত্রী করার দাবি জানাচ্ছি।