প্রকাশ: শুক্রবার, ১২ জানুয়ারি, ২০২৪, ১১:৫০ পূর্বাহ্ন
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ইয়েমেনে হুতিদের বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যসহ অস্ট্রেলিয়া, বাহরাইন, কানাডা, ডেনমার্ক, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, নিউজিল্যান্ড, রিপাবলিক অফ কোরিয়া, যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের কোয়ালিশন জোট। একটি যৌথ বিবৃতিতে এই জোট দাবি করছে ইয়েমেনে হামলা ছিল আত্মরক্ষার জন্য। বিবৃতিতে হুতিদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের 'বিস্তৃত ঐকমত্য' উদ্ধৃত করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য 'শিগগিরই তাদের সবচেয়ে বড় মূর্খতা বুঝতে পারবে' বলে হুমকি দিয়েছে সশস্ত্র হুতি। শুক্রবার হুতি নেতা মোহাম্মদ আল-বুখাইতি হুমকি দিয়ে বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য 'শিগগিরই বুঝতে পারবে যে ইয়েমেনে হামলা 'তাদের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বোকামি'।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, এক্সে হুতির ওই নেতা পোস্ট করেছেন, 'আমেরিকা এবং ব্রিটেন ইয়েমেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করার ক্ষেত্রে একটি ভুল করেছে। কারণ তারা তাদের পূর্বের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নেয়নি'। এই নেতা বলেন, এই বিশ্বের প্রতিটি ব্যক্তি দুটির মধ্যে একটি বিষয় পছন্দ করে। হয় গণহত্যার শিকার জাতিগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়ানো অথবা অপরাধীদের পাশে দাঁড়ানো'।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা বলছে, বর্তমানে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় গণহত্যার সমর্থক ও বিপক্ষ অবস্থানকারীদের মধ্যে যুদ্ধ চলছে মন্তব্য করে আল-বুখাইতি বলেন, 'এর একটি পক্ষের লক্ষ্য হলো ইয়েমেনের প্রতিনিধিত্ব করা এবং গাজায় গণহত্যার অপরাধ বন্ধ করা, অন্যদিকে অন্য পক্ষের লক্ষ্য হলো আমেরিকা ও ব্রিটেনের প্রতিনিধিত্বকারী অপরাধীদের সমর্থন করা এবং রক্ষা করা'।
এদিকে ইয়েমেনে হামলা বন্ধের দাবিতে হোয়াইট হাউসের বাইরে বিক্ষোভ দেখিয়েছে অনেকে। 'হ্যান্ডস অফ ইয়েমেন' তথা ইয়েমেন থেকে হাত উঠানোর আহ্বানের পোস্টার নিয়ে তারা হাজির হন একদল বিক্ষোভকারী। এদিন রাতে নিউইয়র্কের টাইমস স্কোয়ারেও যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভের খবর পাওয়া গেছে।