তীব্র শীত আর ঘন কুয়াশাকে উপক্ষো করেই জমি তৈরি ও বোরো ধানের চারা রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন শেরপুর জেলাসহ ও গারো পাহাড়ের চাষিরা।
কৃষকদের আশা, আবহাওয়া ভালো থাকলে এবার তারা বাম্পার ফলন পাবেন। গত বছরের তুলনায় এ বছর বাজারে ধানের দাম কিছুটা বেশি থাকায় জেলা ও গারো পাহাড় অঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকায় ইরি-বোরো ধান চাষে আগ্রহ বাড়ছে চাষিদের। ফলে জেলা- উপজেলার গ্রামাঞ্চলে আবাদি ও অনাবাদি জমিতে ব্যাপকহারে ধান চাষের প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা।
এ দিকে শ্যালোমেশিন কিংবা পাম্পের সাহায্যে জমিতে পানি দিয়ে ধান রোপণের জন্য জমি উপযোগী করে তুলছেন বেশির ভাগ কৃষক।লাঙ্গল দিয়ে জমি চাষ পদ্ধতি এখন খুব একটা চোখে পড়ে না। অধিকাংশ জমিতে ট্রাক্টর দিয়ে জমি চাষ করা হয়। বীজতলা তৈরি ও জমিতে রোপণের জন্য ধানের চারা উত্তোলনে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন চাষিরা।
তবে সারা দেশে ধানের দাম কিছুটা বৃদ্ধি পাওয়ায় ধান আবাদ বাড়ছে বলে জানান স্থানীয় চাষিরা।
শেরপুর কৃষি বিভাগ জানায়, চলতি মওসুমে শেরপুর জেলা উপজেলায় বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৯১ হাজার ৯৪০ হেক্টর জমিতে।
সরেজমিন তথ্য সংগ্রহকালে গারো পাহাড়ি উপজেলা ঝিনাইগাতী, শ্রীবরদী ও নালিতাবাড়ীর গ্রামগুলোতে দেখা যায় ইরি-বোরো রোপণ করছেন চাষিরা। মাঠে মাঠে পুরোদমে বোরো ধান রোপণ শুরু হয়েছে।
স্থানীয় কৃষকদের বরাত জানা যায়, এ বছর জমিতে তারা বিভিন্ন হাইব্রিড জাতের ধান রোপণ করছেন। অনেকে শ্রমিকের সাথে নিজেরাও বোরো ধানের চারা রোপণে ব্যস্ত রয়েছেন।
উত্তর দাড়িয়ার পাড় গ্রামের চাষি খোরশেদ আলম আকন্দ ও সরোয়ার হোসেন, শালচুড়া গ্রামের আলহাজ সরোয়ার্দী দুদু মন্ডলসহ অন্যান্যরা জানান, ধানের দাম বাজার একটু বেশি থাকায় বোরো রোপণ করছি অধিকাংশ জমিতে। আরো অনেক জমিতে রোপণ করা বাকি আছে।
ঝিনাইগাতী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ হুমায়ুন দিলদার দৈনিক জবাবদিহিকে বলেন, বোরো ধান রোপণের শুরু থেকে কাটা ও মাড়াই পর্যন্ত সময় লাগে ৯০ দিন। কাটামাড়াই পর্যন্ত বোরো চাষিদের খরচ হয় প্রায় ৭ থেকে ৯ হাজার টাকা। গেলো বোরো মৌসুমে ধানের দাম বেশি পাওয়ায় এবারও দাম ভালো পাওয়ার আশায় আছেন চাষিরা।
শেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের খামাবাড়ীর অতিরিক্ত উপপরিচলক কৃষিবিদ হুময়ুন কবীর দৈনিক জবাবদিহিকে বলেন, চলতি মৌসুমে ধানের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বোরো চাষে বেশী আগ্রহী হচ্ছেন কৃষক। ইতোমধ্যেই ৮৭৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধান রোপন করা হয়ে গেছে। নির্বাচনের পর অরো দ্রæত রোপিত হবে। এ বছর জেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি রোপণ হতে পারে বলেও মন্তব্য করেন ওই কর্মকর্তা।