প্রকাশ: বুধবার, ৮ জানুয়ারি, ২০২৫, ৫:১৫ অপরাহ্ন
চীনের প্রত্যন্ত তিব্বত অঞ্চলে ভযাবহ ভূমিকম্পে কমপক্ষে ১২৬ জন প্রাণ হারিয়েছে। হিমালয়ের পাদদেশে হিমশীতল পরিবশে হাজার হাজার উদ্ধারকারী বুধবার জীবিতদের খুঁজে বের করতে অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে। বেইজিং থেকে এএফপি এ খবর জানায়।
বুধবার রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম সিসিটিভি প্রকাশিত এক ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, উদ্ধারকর্মীরা ধসে পড়া ভবনের ধ্বংসস্তূপ থেকে আহতদের টেনে বের করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাচ্ছেন।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকালে নেপালের সাথে চীনের সীমান্তের কাছে মাউন্ট এভারেস্টের প্রায় ৮০ কিলোমিটার (৫০ মাইল) উত্তরে অবস্থিত গ্রামীণ, সুউচ্চ খাড়াই টিংরি কাউন্টিতে আঘাত হানা ভূমিকম্পে কমপক্ষে ১২৬ জনের মৃত্যু এবং ১৮৮ জন আহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করা হয়েছে।
বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে, ভয়াবহ ওই ভূমিকম্পে ৩ হাজার ৬০০ টিরও বেশি বাড়িঘর ধসে পড়েছে এবং ৩০ সহস্রাধিক বাসিন্দাকে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। আটকে পড়াদের অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে।
এতে বলা হয়, উদ্ধারকারীরা ঘরবাড়ি হারানো বাসিন্দাদের জন্য এমন একটি এলাকায় তাঁবু স্থাপনের জন্য সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে ছুটছেন যেখানে তাপমাত্রা হ্রাস পাবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
চীনের আবহাওয়া প্রশাসনের তথ্যানুসারে, টিংরির তাপমাত্রা বর্তমানে মাইনাস ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১২.২ ফারেনহাইট)। কাউন্টিটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে গড়ে ৪,৫০০ মিটার (১৪,৮০০ ফুট) উচ্চতায় অবস্থিত।
কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে সিনহুয়া জানিয়েছে, দমকলকর্মী, সৈন্য, পুলিশ অফিসার ও পেশাদার উদ্ধারকারীসহ ১২ সহস্রাধিক লোককে উদ্ধারকাজে মোতায়েন করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষ তাঁবু, কম্বল এবং ঠান্ডা আবহাওয়ার উপযোগী সরঞ্জামসহ বিভিন্ন ধরনের সহায়তা প্রেরণ করেছে।
চায়না আর্থকোয়েক নেটওয়ার্ক সেন্টার (সিইএনসি) তীব্র ওই ভূমিকম্পের মাত্রা ৬.৮ পরিমাপ করেছে, তবে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ এটির মাত্রা ৭.১ বলে জানিয়েছে। এভারেস্টের চীন অংশের পাবত্য ভূখণ্ড দ্বারা বেষ্টিত এলাকাটি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ভূমিকম্পে প্রাণহানিতে গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছেন।