প্রকাশ: মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারি, ২০২৫, ২:৩৯ অপরাহ্ন
চীনের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল তিব্বতে শক্তিশালী ভূমিকম্পে কমপক্ষে ৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৬২ জন।
আজ মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সকালে সেখানে ৭ দশমিক ১ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। এর গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার (ছয় মাইল)। খবর বিবিসির
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতত্ত্ব জরিপ সংস্থা ( ইউএসজিএস) জানিয়েছে, তিব্বতের শিগাতসে শহর সকাল ৯টার দিকে শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে। ভূমিকম্পটি এতটাই শক্তিশালী ছিল যে এটি নেপাল, ভারতের কিছু অংশ এবং বাংলাদেশেও অনুভূত হয়। বড় ভূতাত্ত্বিক ফল্টে অবস্থানের কারণে ওই অঞ্চলে প্রায়ই ভূমিকম্প হয়ে থাকে।
চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে অবশ্য বলা হয়েছে ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৮। এটির আঘাতে এক হাজারেরও বেশি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে উল্লেখ করেছে তারা।ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় উদ্ধার অভিযানে নেমেছে চীনের বিমানবাহিনী। এতে ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে। এভারেস্ট পর্বতশৃঙ্গের পাশে অবস্থিত তিব্বতের তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে থাকায় সেখানে উদ্ধার অভিযান বেশ দুরূহ হবে।
চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং হতাহতের সংখ্যা কমাতে এবং ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের পুনর্বাসনের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করছে এবং উদ্ধার প্রচেষ্টার আহ্বান জানিয়েছেন।
নেপালেও শক্তিশালী কম্পন অনুভূত হলেও সেখানে এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতির সন্ধান পাওয়া যায়নি বলে বার্তসংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন দেশটির এক কর্মকর্তা।
২০১৫ সালে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর কাছে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে প্রায় ৯ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। আহত হয়েছিলেন ২০ হাজার জনেরও বেশি।