৪৩তম বিসিএসে বাদ পড়াদের মধ্যে যারা গুরুতর অপরাধের সঙ্গে জড়িত নন সরকার তাদের নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বিরূপ মন্তব্য থাকায় বাদ পড়া ২২৭ জনের মধ্যে কতজন প্রার্থী নিয়োগ পাবেন তা দু-তিনদিনের মধ্যে জানা যাবে।
আজ বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) সচিবালয়ে ৪৩তম বিসিএসে বাদ পাড়া প্রার্থীদের আবেদন পুনর্বিবেচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোখলেস উর রহমান।
জনপ্রশাসন সচিবের সভাপতিত্বে সভায় বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সভা শেষে জনপ্রশাসন সচিব বলেন, ফৌজদারি অপরাধ, রাষ্ট্রদ্রোহের অপরাধ, স্কুল, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিষ্কৃত হয়েছিল অথবা এমন কোনো হিডেন অপরাধ সে করেছে যেটা সামনে আসছে- এরা ছাড়া অন্যদের নিয়োগপ্রাপ্তিতে শুধু একটি প্রক্রিয়ার ব্যাপার, তারা এটি পাবে।
তিনি বলেন, আজকে (বৃহস্পতিবার) যাদের নির্বাচিত করা হয়েছে, সেই বিষয়ে একটি সামারি প্রধান উপদেষ্টার কাছে যাবে, রাষ্ট্রপতি পর্যন্ত সেই সামারি যাবে। সেখান থেকে ফাইল নামার পরে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নবনিয়োগ শাখা থেকে প্রজ্ঞাপন জারি হবে।
মোখলেস উর রহমান বলেন, 'সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে এই কাজটি করা হচ্ছে। এটা শুধু একটি ছেলে বা একটি মেয়ের বিষয় নয়, তার পরিবারের রুটিরুজি, রোজগার। অনেকেই এটার পরে বিয়ে করবে। বাবা-মার সংসার, চিকিৎসা, তাদের লালিত আশা-আকাঙ্ক্ষা তড়িৎ গতিতে যাতে বাস্তবায়ন করা যায় সে জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কাজ করবে। দুই-তিন দিনের মধ্যে তালিকা জানতে পারবেন।'
গোয়েন্দা সংস্থার সুপারিশের ভিত্তিতে ২২৭ জন এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অনুপস্থিত ৪০ জনসহ ২৬৭ জনকে বাদ দিয়ে গত ৩০ ডিসেম্বর ৪৩ তম বিসিএসের গেজেট প্রকাশ করে সরকার।
এরপর থেকে বাদ পড়া প্রার্থীরা সচিবালয়ের সামনে অবস্থান নেন। নিয়োগের দাবিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় আবেদন জমা দেন তারা।
পরে গত এক বিজ্ঞপ্তিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় জানায়, অনুপযুক্ত ২২৭ জনের মধ্যে যেকেউ পুনর্বিবেচনার আবেদন করলে তা গ্রহণ করা হচ্ছে।