পাহাড় ভ্রমণে প্রাকৃতিক পরিবেশকে আরও কাছে টানতে এবং এর সৌন্দর্য অবলোকনে সুবিধার জন্য বান্দরবানে এবার পর্যটকদের জন্য যুক্ত হলো ছাদখোলা বাস। বান্দরবান সদরের স্বনামধন্য আবাসিক হোটেল হিলভিউ-এর পক্ষ থেকে পর্যটকদের ভ্রমণের সুবিধার্থে এই ছাদখোলা বাস সার্ভিসের যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে। এই সার্ভিসের মাধ্যমে এখন থেকে বান্দরবান ভ্রমণে যাওয়া পর্যটকরা জেলার বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রে পরিবার পরিজন নিয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে ভ্রমণ করতে পারবেন।
জানা যায়,বান্দরবান জেলা সদরের প্রবেশমুখ হোটেল হিলভিউ-এর পক্ষ থেকে এই পর্যটকবাহী ছাদখোলা বাসটি পরিচালনা করা হবে।ছাদখোলা বাসটি তে ৩১টি আধুনিকমানের সিট সংযোজন করা হয়েছে। বাসের চারপাশে পার্বত্য বান্দরবানের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের দৃষ্টিনন্দন গ্রাফিতি স্থাপন করা হয়েছে।
জানা যায়, প্রতিদিন সকাল ৭টায় এই বাস হিলভিউ এর সামনে থেকে পর্যটকদের নিয়ে সুদৃশ্য পাহাড়ি পথ অতিক্রম করে লপ্রপাত, চিম্বুক, ভিউ পয়েন্ট ও নীলগিরি পর্যটনকেন্দ্র ভ্রমণ করবে এবং ভ্রমণ শেষে আবার দুপুর নাগাদ পর্যটকদের হোটেল হিলভিউয়ের সামনে এসে নামাবে। এই রুটে ভ্রমণের জন্য জনপ্রতি ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৪০০ টাকা আর ৫ বছরের নিচে সবার জন্য ভাড়া ফ্রি।
আরো জানা যায়, বিকেলে আবার এই বাসে করে পর্যটকরা ভ্রমণ করতে পারবে বান্দরবানের মেঘলা আর নীলাচল পর্যটনকেন্দ্র। এই রুটে ভ্রমণের জন্য জনপ্রতি ভাড়া নির্ধারণ হয়েছে ২০০ টাকা।
প্রতিটি পর্যটনকেন্দ্রে পর্যটকরা ৩০ মিনিট থেকে এক ঘণ্টা ভ্রমণের সুযোগ পাবে আর তাদের সার্বিক নিরাপত্তায় দক্ষ সুপারভাইজার একজন গাইড হিসেবে কাজ করবেন।
হোটেল হিলভিউ এর ব্যবস্থাপক তৌহিদ পারভেজ জানান, বাসটিতে সংযুক্ত করা হয়েছে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র, মেডিকেল টুলস সাথে একজন দক্ষ চালক ও সুপারভাইজার সার্বক্ষণিক নিয়োজিত থাকবে পর্যটকদের সেবায়।
হোটেল হিলভিউ-এর স্বত্বাধিকারী ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী কাজল কান্তি দাশ জানান, বান্দরবানে প্রতিদিনই প্রচুর পর্যটক ভ্রমণ করেন। তারা চান পাহাড়, প্রকৃতি আর এখানকার নৈসর্গিক সৌন্দর্যকে খুব কাছ থেকে উপভোগ করতে। তাই পর্যটকদের বিনোদনে নতুন মাত্রা যোগ করতে এই ছাদখোলা বাসের যাত্রা শুরু হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, পর্যটকদের ভ্রমণের সুবিধার্থে প্রথম পর্যায়ে একটি বাস চালু করা হচ্ছে, পর্যায়ক্রমে আরো বাস যুক্ত করা হবে।
এদিকে পর্যটনের ইতিহাসে এমন ভিন্ন ধাচের পরিবহন জেলার ইতিহাসে পর্যটকদের জন্য এবারই প্রথম সংযুক্ত হলো যা নিয়ে প্রশংসা করছে স্থানীয় পর্যটন নির্ভর নানা শ্রেনীপেশার মানুষ।