প্রকাশ: শনিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২৪, ৭:১৯ অপরাহ্ন
উত্তর জনপদের শষ্য ভান্ডার হিসাবে খ্যাত নওগাঁর আত্রাইয়ে আগাম জাতের বীজ আলু রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রান্তিক কৃষকেরা। মৌসুম শুরুতেই বীজ আলুর বাজারে দেখা দিয়েছে দাম নিয়ে অস্থিরতা।
বাজারে বীজ আলুর চাহিদা বাড়ায় একশ্রেণির অসাদু ব্যবসায়ী কৃত্রিম সংকট তৈরি করে সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে বীজ আলু বিক্রি করছেন। এভাবে কারসাজির মাধ্যমে কৃষকদের কাছ থেকে তাঁরা টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
আলুর বাজার নিয়ন্ত্রণে দ্রুত সংশ্লিষ্টদের বাজার মনিঃটরিংয়ের দাবি কৃষকদের।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে আত্রাইয়ে প্রায় ২৯শত হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এখনো আমন ধান কাটা-মাড়াইয়ের কাজ শেষ হয়নি। এ কারণে পুরোদমে আলুর চাষ শুরু হয়নি। বাজারে যে পরিমাণ বীজ আলুর সরবরাহ আছে, তাতে কোনো সংকট থাকার কথা নয়।
ভুক্তভোগী কৃষকদের অভিযোগ, পর্যাপ্ত জোগান থাকলেও বেশির ভাগ ব্যবসায়ী তাঁদের দোকান ও গুদামে বীজ আলু রাখছেন না। নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে মণপ্রতি দেড় থেকে দুই হাজার টাকা বেশি দামে বিক্রি করছেন তাঁরা।
কৃষকেরা বলছেন, ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে লোকদেখানো জরিমানা ছাড়া তেমন কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। বীজ আলুর সংকটের অজুহাতে মৌসুমি ব্যবসায়ীরাও খাবার উপযোগী আলু বিভিন্ন কোম্পানির মোড়কে প্যাকেটজাত করছেন। এসব নিম্নমানের বীজ আলু কিনে কৃষকদের প্রতারিত হওয়ার আশঙ্কা আছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ প্রসেনজিৎ তালুকদার বলেন, এ উপজেলায় এবার প্রায় ২৯ শত হেক্টও জমিতে আলু চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। উপজেলার কৃষকরা যাতে পাট যথাযথভাবে উৎপাদন করতে পারে এবং স্বল্প খরচে উচ্চ ফলনশীল আলু উৎপাদন করতে পারে এ জন্য আমরা প্রতিনিয়ত কৃষকদের নিকট গিয়ে পরামর্শ প্রদান করছি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কামাল হোসেন বলেন, নির্ধারিত দরের চেয়ে বেশি দামে বীজ আলু বিক্রির অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে তদারক করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করা হয়েছে।