প্রকাশ: শনিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২৪, ১:২৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: শনিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২৪, ৩:৩৫ অপরাহ্ন
ভারতের উত্তর প্রদেশে একটি হাসপাতালে আগুন লেগ ১০ নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও ১৬টি শিশু। স্থানীয় হাসপাতালে তাদের চিকিৎসা চলছে। আগুনের ঘটনার সময় হাসপাতালটিতে অন্তত ৫৪ শিশু ভর্তি ছিলো। তাদের মধ্যে ৪৪ নবজাতক উদ্ধার করা হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার রাতে রাজ্যের ঝাঁসি জেলার মহারানি লক্ষ্মী বাই মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নবজাতকের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (এনআইসিইউ) এই আগুনের ঘটনা ঘটে।
রাজ্যের উপ-মুখ্যমন্ত্রী ব্রজেশ পাঠক বলেছেন, সম্ভবত অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটারের ভেতরে শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগতে পারে।
সরকার ইতিমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর জন্য আর্থিক সহযোগিতার কথা ঘোষণা করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, গত ফেব্রুয়ারিতে হাসপাতালের ফায়ার সেফটি অডিট করা হয়েছিল। এরপর জুন মাসে একটি মক ফায়ার ড্রিল হয়েছিল। আগুনের ঘটনাটি কীভাবে এবং কেন এটি ঘটেছে, তদন্ত প্রতিবেদন আসার পরে আমরা বলতে পারবো। আগুনের ঘটনায় স্বাস্থ্য বিভাগ, পুলিশ এবং একটি ম্যাজিস্ট্রিয়ালসহ মোট তিনটি তদন্ত হবে।
এদিকে হাসপাতাল সূত্র জানায়, অন্তত ৫৪ শিশুকে সেই মুহূর্তে এনআইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছিল। আগুনের পর কর্মকর্তাদের তৎপরতায় ৪৪ নবজাতককে উদ্ধার করা হয়েছে।
সূত্রটি আরও জানায়, আগুনের সময় হাসপাতালের ফায়ার অ্যালার্ম কাজ করেনি। একই সঙ্গে অভাব ছিল ইমার্জেন্সি সিস্টেমের রক্ষণাবেক্ষণেরও।
হাসপাতালের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ১০ শিশুর মধ্যে সাত জনের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। বাকি তিন জনকে শনাক্ত করতে প্রয়োজনে ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে।
এদিকে, এক নারী সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানান, ঘটনার পর তার শিশুটি খুঁজে পাননি। তবে পরে জানানো হয় শিশুটি মারা গেছে।
সকালে ঝাঁসির সিনিয়র সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ (এসএসপি) সুধা সিং জানান, আহত ১৬ শিশুকে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাদের চিকিৎসায় পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
অপরদিকে, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ গত রাতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও চিকিৎসকদের জরুরিভিত্তিতে উদ্ধার অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছেন এবং পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপক যানবাহন মোতায়েন করতে বলেছেন। একই সঙ্গে তিনি নিহতদের পরিবারকে পাঁচ লাখ এবং আহতদের ৫০ হাজার রুপি আর্থিক সহায়তা ঘোষণা করেছেন।
একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বিভাগীয় কমিশনার এবং ঝাঁসির ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেলকে (ডিআইজি) ১২ ঘণ্টার মধ্যে একটি প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
দেশটির রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাকে ‘হৃদয়বিদারক’ উল্লেখ করে, প্রধানমন্ত্রী মোদী নিহতদের পরিবারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় ত্রাণ তহবিল থেকে দুই লাখ এবং আহতদের জন্য ৫০ হাজার রুপি সহায়তা ঘোষণা করেছেন।