বৃহস্পতিবার ১৩ মার্চ ২০২৫ ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১
 

উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগ
অ্যাতলেতিকোকে বিদায় করে কোয়ার্টারে রিয়াল
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫, ৫:২৪ অপরাহ্ন

মাদ্রিদ ডার্বি কতটা ভালো হলে দর্শকের মন ভরবে? কতটা ভালো হলে এই একটি ম্যাচের রেশ ভক্তদের হৃদয়ে থেকে যাবে অনেক দিন? বুধবার রাতে মেট্রোপলিটানো স্টেডিয়ামে মাদ্রিদের দুই জায়ান্ট ক্লাবের মধ্যে তেমনই একটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হলো।

বিজয়ী দল নির্ধারণ করতে না পারায়, ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানে অ্যাতলেতিকোকে মাদ্রিদকে ৪-২ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে গেলো রিয়াল মাদ্রিদ।

নির্ধারিত সময়ে ১-০ গোলে জয়ী দল ছিল অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদ। তবে, প্রথম লেগে রিয়াল মাদ্রিদ জয় পেয়েছিলো ২-১ গোলে। যার ফলে দুই লেগ মিলে দুই দল ২-২ গোলে সমতায় থেকে যায়। অতিরিক্ত আরও ৩০ মিনিট খেলা হলেও সেখানে কেউ গোল করতে পারেনি।

শেষে টাইব্রেকারে নিষ্পত্তি হলো বিজয়ী দল। যারা খেলবে কোয়ার্টার ফাইনালে আর্সেনালের বিপক্ষে।

টাইব্রেকারে তৈরি হয়েছিল নাটকীয়তা, কিছুটা বিতর্কও। আর্জেন্টাইন তারকা হুলিয়ান আলভারেজের টাইব্রেকারে নেয়া শটে গোল হলেও সেটি বাতিল করে দেন রেফারি। শট নিতে গিয়ে স্লিপ কেটে পড়ে যাচ্ছিলেন তিনি। ওই সময় বলে ডাবল টাচ করেন আলভারেজ। ভিএআর চেক করে রেফারি নিশ্চিত করলেন সেটি গোল হযনি।

শেষ পর্যন্ত আন্তোনিও রুডিগারের স্পট কিক অ্যাতলেতিকোর জালে জড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিজয়ের আনন্দে মেতে ওঠে রিয়াল ফুটবলাররা।

২০১৬ চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালেও দু’দল মুখোমুখি হয়েছিল এবং সেবার টাইব্রেকারে অ্যাতলেতিকোকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় রিয়াল মাদ্রিদ। সব মিলিয়ে সেবার টানা চারবার নকআউট পর্বে রিয়ালের কাছে হেরেছিল অ্যাতলেতিকো। যার শুরুটা হয়েছিলো ২০১৪ সালে।

অ্যাতলেতিকোর মাঠ মেট্রোপলিটানো স্টেডিয়ামে ম্যাচ শুরুর প্রথম মিনিটেই গোল করে বসেন স্বাগতিক দলের কনর গ্যালাঘার। বাকি সময়ে রিয়ালকে চাপে রেখেছিল স্বাগতিক অ্যাতলেতিকো। রিয়াল গোলরক্ষক থিবো কুর্তোয়া অন্তত চারবার দলের পতন আটকান।

খেলার বিপরীতে গিয়ে ৭০ মিনিটে পেনাল্টি পেয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ। বক্সের মধ্যে ফেলে দেওয়া হয়েছিল কিলিয়ান এমবাপেকে। তবে পেনাল্টি শুট করতে যান ভিনিসিয়ুস জুনির। কিন্তু তার নেওয়া শটটি বারের উপর দিয়ে উড়ে যায়। ওই টাইব্রেকারে গোল হলে শেষ পর্যন্ত অতিরিক্ত ৩০ মিনিটের খেলা কিংবা টাইব্রেকারের প্রয়োজনই হতো না।

টাইব্রেকারে রিয়ালের হয়ে গোল করেন কিলিয়ান এমবাপে, জুদ বেলিংহ্যাম, ফেদেরিকো ভালভার্দে এবং আন্তোনিও রুডিগার। লুকাস ভাজকুয়েজের শট আটকে দেন অ্যাতলেতিকো গোলরক্ষক ইয়ান ও’ব্লাক।

তবে আলভারেজের শট নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। শট নেওয়ার সময় পিছলে গিয়েছিলেন আর্জেন্টিনার ফুটবলার। তাঁর বাঁ পা আগে বলের সঙ্গে লাগে। মাটিতে পড়তে পড়তেই ডান পায়ের শটে গোল করেন। যা থিবো কুর্তোয়া প্রথম রেফারিকে জানান।

ম্যাচের পর কুর্তোয়া বলেন, ‘আমি বুঝেছিলাম বলে দু’বার পা লেগেছে। ভাগ্য খারাপ থাকার জন্যই ছিটকে গেল আতলেতিকো।’ রিয়ালের কোচ কার্লো আনচেলত্তি এবং অ্যাতলেতিকো কোচ দিয়েগো সিমিওনে, দু’জনেই দাবি করেছেন বলে দু’বার পা লাগার ঘটনা দেখেননি। তবে সিমিওনে বলেছেন, ‘কিছু দেখতে পেয়েছে বলেই ভার গোল বাতিল করেছে।’

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো: আক্তার হোসেন রিন্টু
বার্তা ও বাণিজ্যিক বিভাগ : প্রকাশক কর্তৃক ৮২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক (৩য় তলা) ওয়্যারলেস মোড়, বড় মগবাজার, ঢাকা-১২১৭।
বার্তা বিভাগ : +8802-58316172, বাণিজ্যিক বিভাগ : +8802-58316175,+8801711443328, E-mail: info@jobabdihi.com , contact@jobabdihi.com
কপিরাইট © দৈনিক জবাবদিহি সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft