প্রকাশ: বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৫:৩০ অপরাহ্ন

পটুয়াখালীর দশমিনায় মো. মহিউদ্দিন ওরফে ইছা (১৯) নামে এক তারুণকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় দুই জনকে আটক করেছে পুলিশ।
আজ বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার আলীপুরা ইউনিয়নের চাঁদপুরা গ্রামের নির্জন এলাকায় তরমুজ ক্ষেতের টোংঘর থেকে দশসিনা থানা পুলিশ এক তারুণকে লাশ উদ্ধার করে। ঘটনাস্থল থেকে দা, মাদক সেবনের সরমঞ্জাম উদ্ধার করেছে।
নিহত মহিউদ্দিনের বাড়ি পটুয়াখালী সদর উপজেলার ইটবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা মো. জাফর ফকিরের ছেলে। পেশায় একজন অটোরিকশা চালক। চার ভাই এক বোনের মধ্যে মেঝো। ঐ হত্যার ঘটনায় দশমিনা থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু করা হয়।
পটুয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার মোঃ আনোয়ার জাহিদ মঙ্গবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে প্রেস ব্রফিংএ জানান, মোঃ মহিউদ্দিন ওরফে ইছা হত্যা মামালায় পটুয়াখালী শহরের বিভিন্ন স্থানের সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ দেখে রবিবার বিকেলে (১৬ ফেব্রয়ারী) প্রথমে নাহিদ(১৪) নামের ৮ম শ্রেনীর এক শিক্ষার্থীকে নানা বাড়ি থেকে আটক করে পটুয়াখালী জেলা পুলিশ।
নাহিদের তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, নাহিদ ও তুহিন মিলে টিকটক করার জন্য মহিউদ্দিন ওরফে ইছার অটোরিকশা ভাড়া করে। তাদের উদ্দ্যেশ্য ছিলো অটোরিকশাটি ছিনতাই করবে। তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী দশমিনা উপজেলার আলীপুর ইউনিয়নের চাদপুরা গ্রামে নির্জন তরমুজ ক্ষেতে এনে প্রথমে মহিউদ্দিন ওরফে ইছার কাছে তুহিন ৩শত টাকা চায় টাকা না দিলে তুহিন প্রথমে টোংঘরে থাকা দা দিয়ে কোপ দেয় পরে মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য জাবাই করে। এর পর অটোরিকশার চাবি অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে নাহিদ ১শত টাকা আর তুহিন ২শত টাকা ভাগ করে পালিয়ে যায়। সোমবার রাতে ঢাকা মিরপুর কাফরুল থানাধীন একটি বস্তি থেকে গ্রেপ্তার কারে মঙ্গলবার সন্ধ্যা দশমিনা থানায় আনা হয়। তুহিন (২৪) হচ্ছে পটুয়াখালী জেলার দুর্গাপুর গ্রমের সেলিম হাওলদারের ছেলে।
দশমিনা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মাদ আবদুল আলিম জানান, মোঃ মহিউদ্দিন ওরফে ইছাকে হত্যার ঘটনায় প্রথমে নাহিদ এবং গত কাল সোমবার রাতে তুহিনকে প্রোযুক্তির মধ্যমে ঢাকায় গ্রেপ্তার করে আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দশমিনা থানায় আনা হয়। বুধবার সকালে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরন করা হয়