প্রকাশ: শনিবার, ৯ নভেম্বর, ২০২৪, ৫:৩৩ অপরাহ্ন
ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) এর আয়োজনে সল্প মল্যে ভোজ্য তেল, মসুর ডাল ও চাল পেয়ে ক্রতারা সন্তষ্ঠ প্রকাশ করেন গতকাল বেলা ১১টায় মগবাজারে টিসিবির এই পণ্য বিতরণ করা হয়।
ক্রেতারা জানান, আমরা যা আয় করি তা দিয়ে আমাদের চলা কঠিন হয়ে যায় ছেলে মিয়েদের খরজ জগাতে আমরা হিমসিম খাচ্ছি। এমন সময় প্রয়োজনিয় কিছু পণ্য যদি অল্প মল্যে পায় তাহলে আমাদের জন্য কিছুটা উপকার হয়। সরকারের এই আয়োজনকে আমরা সাধুবাদ জানায় । তবে আমরা অনেক সময় এসে ফিরে যায়। তবে এর পরিমান টা বাড়ানোর দ্বাবি জানাচ্ছি। জাতে এই সুবিধার আওতাও অনেক পরিবার আসতে পারে।
এ সময় টিসিবির পণ্য কেনতে বিভিন্ন পেশা জীবিদের উপস্থিতি দেখা যায়।
টিসিবির ডিলারের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, সারা বাংলাদেশ ব্যাপী টিসিবির পণ্য বিতরন করা হচ্ছে। আমরা এখানে ২লিটার তেল প্রতি লিটার ১০০ টাকা, ২কেজি মশুর ডাল প্রতিকেজি ৬০ টাকা ও ৫ কেজি চাল প্রতিকেজি ৩০টাকা করে দিচ্ছি। মানুষ জাতে সল্প মুল্যে নিত্য প্রয়োজনিয় পণ্য ক্রয় করতে পারে। আগে কার্ড ছাড়া অন্য কাওকে এই টিসিবির পণ্য দিয়া হতনা এখন আর সে বাধা নাই। সকলে চাইলে এখন টিসিবির ডিলার পয়েন্টে এসে পণ্য সংগ্রহ করতে পারবে। তবে যে পরিমান চাহিদা আছে আমরা সে পরিমান দিতে পারি না। পরিমান টা আরো বাড়াতে হবে।
স্থানীয়রা জানান, টিসিবির পণ্যের চাহিদা অনেক বেশি ডিলাররা যে পরিমান পণ্য আনে তা দিয়ে হয়না। সরকারের কাছে সকলের দাবি এর পরিমান আরো বাড়ানোর। আমরা সরকারের এই আয়োজনকে আমরা সাধুবাদ জানাই।
এদিকে গতকাল শনিবার সকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে আঞ্চলিক কার্যালয়ে রমজান উপলক্ষে আগাম প্রস্তুতিবিষয়ক এক সংবাদ সম্মেলনে টিসিবির মুখপাত্র হুমায়ুন কবীর বলেন, রমজান উপলক্ষে সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। যেসব পণ্য আমদানি করা হয়, সেসবেরও প্রস্তুতি নেওয়া শেষ। রমজানে পণ্যের কোনো সংকট হবে না। তেল, ডাল, চিনির পাশাপাশি খেজুর ও ছোলা ঢাকা ও অন্য সিটি করপোরেশন এলাকায় দেওয়া হবে। ছোলা ও খেজুরের জন্য এরইমধ্যে চুক্তি হয়ে গেছে। জানুয়ারির ভেতর পণ্য টিসিবির গুদামে চলে আসবে।
সরকারি বিপণন সংস্থাটির মুখপাত্র বলেন, একটি পরিবার থেকে যেন এক ব্যক্তির বেশি না পায়। এজন্য স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড করা হচ্ছে। হুমায়ুন কবীর বলেন, পণ্য স্থানীয় পর্যায়ে পৌঁছাতে বিঘ্ন হচ্ছে না। তবে মনিটরিংটা ঠিকমতো হচ্ছে না। ভোক্তার কাছে সঠিকভাবে যেতে যে সহযোগিতা দরকার, সেটাতে কমতি রয়েছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে সভার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।