প্রকাশ: সোমবার, ৪ নভেম্বর, ২০২৪, ৭:৪৮ অপরাহ্ন
টানা তিন মাস ধরে ইতিবাচক ধারায় প্রবাসী আয়। যার ফলে আমদানিসহ নিত্য দরকারে হাত দিতে হচ্ছে না বৈদেশিক মুদ্রার মজুদে। এ কারণে আইএমএফ'র হিসাব পদ্ধতিতে কিছুদিন ধরেই স্থিতিশীল ২০ বিলিয়নের ঘরে। বিআইবিএম'র সাবেক মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমেদ চৌধুরী বলেন, ডলারের দর বাজারমুখী করাসহ নতুন গভর্নরের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্ত ভালো ফল দিচ্ছে।
মাস কয়েক আগেও এক বড় চ্যালেঞ্জ ছিলো ডলার সংকট। আমদানির ব্যয় মেটাতে ডলার বিক্রির ফলে বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভ নামে তলানিতে। পরিস্থিতি আরও টালমাটাল করে তুলে নিয়ন্ত্রক সংস্থার একের পর এক নড়বড়ে সিদ্ধান্ত।
অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর রিজার্ভ বাড়াতে বেশ কিছু কঠোর পদক্ষেপ নেয় নতুন গভর্নর। যাতে গুরুত্ব পায় ডলার বিক্রি না করা ও ডলারের দর বাজারের কাছাকাছিতে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি। এতে কিছুটা সুফলও মিলতে শুরু করেছে। ৪৮ বিলিয়ন ডলার থেকে নেমে আসা ১৮ বিলিয়ন এখন ২০ বিলিয়নে ছুইছুই। দাতা সংস্থাগুলোর প্রতিশ্রুতি দেয়া অর্থ পেলে দেশের রিজার্ভ শক্ত অবস্থানে দাঁড়াবে বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা বলেন, বর্তমানে বৈদেশিক মুদ্রা বাজার স্থিতিশীল থাকায় এবং রিজার্ভ থেকে অন্য কোনো দায় না মেটানোর কারণে এটা ইনক্রিমেন্টাল হারে বাড়ছে। বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিশ্রুতি বা যারা অর্থ সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠান তাদের কাছ থেকে যখন প্রতিশ্রুত অর্থ আনা যাবে তখন রিজার্ভের অবস্থান আরও সুসংহত হবে।
এদিকে পরিবর্তীত পরিস্থিতিতে বেড়েছে প্রবাসীদের পাঠানো অর্থের পরিমাণ। আগস্টে রেমিট্যান্স এসেছে ২শ ২২ কোটি ডলার। অক্টোবরে এসেছে ২ শ ৩৯ কোটি ডলার।
বিআইবিএম’র সাবেক মাহপরিচালক ড. তৌফিক আহমেদ চৌধুরী বলেছেন, ডলারের মূল্য বাজার মুখি করাসহ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিদ্ধান্তগুলোর ইতিবাচক ফল অর্থনীতিতে পরতে শুরু করেছে।
বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের বাইরে বানিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে ডলার রয়েছে ৪শ মিলিয়ন ডলার।