রাজধানীতে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনে কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় দুইজন আহত হয়েছেন। এ দায় ডিপিডিসিকে নিতে হবে জানিয়ে কঠোর বার্তা দিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান।
তিনি বলেন, এটি দুর্ঘটনা নয়, এটি সম্পূর্ণ অবহেলা ও দায়িত্বহীনতা। এই দুর্ঘটনার দায় ডিপিডিসি ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এড়াতে পারে না। লাইনে কাজ করা অবস্থায় কেন লাইন চালু করা হলো এ ব্যাপারে দায়িত্বশীল প্রত্যেকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই অবহেলার জন্য একজন মানুষ মারা গেছে এবং দুজন মানুষ গুরুতর আহত হয়েছেন।
কর্মকর্তাদের হুঁশিয়ার করে দিয়ে উপদেষ্টা বলেন, আমরা ক্ষমতা নেইনি, আমরা দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। এটাকে আগের সরকারের মতো ভাবলে হবে না।
আজ শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে আহত বিদ্যুৎ কর্মীদের দেখতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা তাৎক্ষণিকভাবে নিহতের পরিবারকে ৫ লাখ, গুরুতর আহত একজনকে ২ লাখ ও অপরজনকে এক লাখ টাকা প্রদানের নির্দেশনা দেন। আহতদের চিকিৎসার সকল খরচ সরকার বহন করবে জানিয়ে তিনি ডিপিডিসির পক্ষ থেকে হাসপাতালে সার্বক্ষণিক লোক নিয়োগের নির্দেশনা দেন।
বিদ্যুৎ উপদেষ্টা নিহত ও আহতদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে তাদের সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন। সমবেদনা জানিয়ে তিনি বলেন, মানুষের মৃত্যুর কোনো ক্ষতিপূরণ হয় না। তবে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিহত ও আহতদের পরিবার ও তাদের ওপর নির্ভরশীলদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।
উপদেষ্টা এসময় আহতদের সুচিকিৎসার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে সর্বাত্মক প্রচেষ্টার নির্দেশনা প্রদান করেন। আহতদের জন্য কেবিন প্রদানের নির্দেশনাও দেন তিনি।
উপদেষ্টার সঙ্গে এ সময় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. এহছানুল হক, বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব ফারজানা মমতাজ, ডিপিডিসি ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতনরা উপস্থিত ছিলেন।
সোমবার (২১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় মানিকনগর এলাকায় উচ্চচাপ (এইচটি ক্যাবল) বিদ্যুৎলাইনের তার পরিবর্তনের কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক বিদ্যুৎকর্মী নিহত ও দুজন আহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তি, বিদ্যুৎ লাইনকর্মী (ফোরম্যান) মো. নবীর হোসেন। আহতরা হলেন, মাসুম মিয়া ও রবিউল ইসলাম।
বিদ্যুৎ লাইনকর্মী (ফোরম্যান) মো. নবীর হোসেন ডিপিডিসির মানিকনগর ডিভিশনের বাৎসরিক ঠিকাদার ‘মেসার্স মুন পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং’ কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন।