প্রকাশ: রোববার, ২০ অক্টোবর, ২০২৪, ৩:৩২ অপরাহ্ন
১৯৮৮ সালের পর ভারতের মাটিতে টেস্ট জিতলো নিউজিল্যান্ড। বেঙ্গালুরুতে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টে ভারতকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে নিউজিল্যান্ড। ৩৫ বছর পর ভারতের মাটিতে এটি তাদের প্রথম জয়। এর আগে ১৯৮৮ সালের নভেম্বরে ওয়াংখেড়েতে ১৩৬ রানের জয় পেয়েছিল তারা।
বেঙ্গালুরুতে নিজেদের মাঠেই প্রথম ইনিংসে ৪৬ রানে অলআউট হয়ে টেস্টে লজ্জার রেকর্ড গড়ে ভারত। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে অবিশ্বাস্য এক প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে নিউজিল্যান্ডের ৩৫৬ রান টপকে ৪৬২ রান করেছে রোহিতরা। জয়ের জন্য ১০৭ রানের লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামে কিউইরা।
শেষ দিন বেঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে বৃষ্টির বাগড়ায় পড়ার শঙ্কা ছিল। কিন্তু প্রকৃতিও সহায় হয়নি ভারতের। যদিও দিনের শুরুতে জাসপ্রিত বুমরাহ ও মোহাম্মদ সিরাজরা সুইংয়ে কাবু করতে চেয়েছেন কিউই ব্যাটারদের। ২ উইকেটও তুলে নেন ৩৫ রানে। তবে বাকি পথ দেখেশুনে পার করেছেন উইল ইয়ং ও রাচিন রবীন্দ্ররা। শেষ পর্যন্ত ইয়ং ৪৫ আর রাচিন ৩৯ রানে অপরাজিত থেকে কিউইদের জয় নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ৪০২ রান করেছিল নিউজিল্যান্ড। শুক্রবার তাদের অলআউট করে বড় স্কোরে ভিত গড়ে দেয় ভারতীয় টপ অর্ডার। বিরাট কোহলি ও সরফরাজ খানের দুর্দান্ত জুটিতে এগিয়ে চলতে থাকে ভারত। ব্যক্তিগত ৭০ রানে আউট হন কোহলি। তিনি সেঞ্চুরি মিস করলেও তা মিস করেননি সরফরাজ খান। শনিবার ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন ভারতের এই নবাগত ব্যাটার। ১৯৫ বলে ১৮ চার ৩ ছক্কায় ১৫০ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলে টিম সাউদির শিকার হন তিনি।
এরপর ব্যাটে এসে কিউই বোলারদের শাসন করতে থাকেন রিশাভ পান্ত। তবে তার দুর্ভাগ্য ১০৫ বলে ৯ চার ৫ ছক্কায় ৯৯ রানে উইলিয়াম ও’রোর্কর বলে বোল্ড হন তিনি। পরের ব্যাটাররা কেউ সুবিধা করতে পারেননি। চতুর্থ দিনের শেষের দিকে ৪৬২ রানে গুঁড়িয়ে যায় ভারতের দ্বিতীয় ইনিংস।
লক্ষ্য তাড়ায় চতুর্থ দিন স্রেফ ৪ বল খেলে কোনো রান করতে পারেনি নিউজিল্যান্ড। এদিন দ্বিতীয় বলেই সাজঘরে ফেরেন টম লাথাম। দলীয় ১৩তম ওভারে আরেক ওপেনার ডেভন কনওয়েকেও (২৯ বলে ১৭) এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন জাসপ্রিত বুমরাহ। ৩৫ রানে প্রতিপক্ষের ২ উইকেট তুলে নিয়ে হয়ত বিস্ময়কর কিছুর স্বপ্নও দেখছিল স্বাগতিকরা।
কিন্তু উইল ইয়াং ও রাচিন রবীন্দ্রর ব্যাটে সেই স্বপ্ন ভাঙতেও সময় লাগেনি। অবিচ্ছিন্ন ৭৫ রানের জুটিতে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়েন দুজন। ইয়াং ৭৬ বলে ৭টি চার ও ১ ঝক্কায় ৪৮ রানে এবং রাচিন ৪৬ বলে ৬ চারে ৩৯ রানে অপরাজিত ছিলেন।