প্রকাশ: শনিবার, ৫ অক্টোবর, ২০২৪, ৬:৪৫ অপরাহ্ন
চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে শিপিং করপোরেশনের তেলবাহী জাহাজ বাংলার সৌরভ। ভেতরে ৪৮ জন ক্রু। রাত তখন পৌনে ১টা। নাবিকদের অনেকেই কাজ শেষে ঘুমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন। হঠাৎ বিস্ফোরণ। এরপর লাগে আগুন। দিশেহারা হয়ে পড়েছেন সবাই। প্রাণ বাঁচাতে সাগরে ঝাঁপ দেন এক নাবিক। কিন্তু ঝাঁপ দেওয়াই কাল হলো তার। হারাতে হলো মূল্যবান প্রাণটি। কোস্টগার্ডের সদস্যরা এসে তার ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করে। সেইসঙ্গে জীবিত উদ্ধার করে জাহাজে থাকা ৪৭ জনকে।
আজ শনিবার (৫ অক্টোবর) সকাল ১০টায় বিএসসি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করেন বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কমোডর মাহমুদুল মালেক। ঘটনাটি নাশকতা হতে পারে বলে জানান তিনি।
কমোডর মাহমুদুল মালেক বলেন, জাতীয় নিরাপত্তাকে বিঘ্নিত করতে জাহাজে আগুন লাগার ঘটনা ঘটতে পারে। এটি নাশকতা হতে পারে। কারণ অনুসন্ধানে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন আট সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। চারটি পয়েন্ট থেকে জাহাজটিতে আগুন ছড়িয়ে পরে।
জাহাজ কর্তৃপক্ষ জানায়, ১১ হাজার ৫৫ মেট্রিক টন ক্রুড অয়েল ছিল জাহাজে। কোস্টগার্ড জানিয়েছে, ওপরের অংশে আগুন লাগলেও তা ভেতরে ছড়ায়নি। কিন্তু আগুন লাগার কারণ এখনও জানা যায়নি।
এর চার দিন আগে আগুন লাগে শিপিং করপোরেশনের আরেক জাহাজ বাংলার জ্যোতিতে। এতে নিহত হন তিনজন। শিপিং করপোরেশন জানিয়েছে, এমন ঘটনার পর গভীর সমুদ্রে থাকা মাদার ভ্যাসেল ওমেরা লিগেসির ৪০ হাজার টন অপরিশোধিত জ্বালানির নিরাপত্তায় নেওয়া হচ্ছে বিশেষ ব্যবস্থা।