প্রকাশ: সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১১:০৬ অপরাহ্ন
নড়াইলের কালিয়া উপজেলার পুরুলিয়া ইউনিয়নের বুড়িখালী গ্রামে ওয়ার্ড বিএনপির কার্যালয় ভাংচুর, এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধসহ দুই জন আহত হয়েছেন।
খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭ টার দিকে কালিয়া উপজেলার বুড়িখালি বাজারে স্থানীয় অধিপত্যকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মো: আমিনুর গাজী (৩৭) নামে একজন গুলিবিদ্ধ এবং হেকমত শেখ (৩৬) নামে একজন টেটাবিদ্ধ হয়েছেন। স্থানীয়রা আহতদের প্রথমে নড়াইল সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। আহতদের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করে সেখান থেকে তাদের যশোর মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে।
ভুক্তভোগী ও তার স্বজনরা জানায়, উপজেলার পুরুলিয়া ইউনিয়নের বুড়িখালী বাজারে স্থানীয় অধিপত্যকে কেন্দ্র করে বিএনপি সর্মথিত আকুবর শেখ ও আওয়ামী লীগ সমর্থিত জালাল খান ওরফে ধলা মেম্বরের মধ্যে দীর্ঘ দিন দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকালে বিএনপি সর্মথিত আকুবর শেখ বুড়িখালী বাজারে বিএনপি অফিসে দলীয় কর্মীদের নিয়ে মিটিং করে। মিটিং শেষে সন্ধ্যার পরে বিএনপির অফিস থেকে বের হলে আওয়ামী লীগ সমর্থিত জালাল খান ওরফে ধলা মেম্বরের সন্ত্রাসী বাহিনী আগ্নেয়াস্ত্র ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে মোঃ আমিনুর গাজীকে গুলিবিদ্ধ ও হেকমত শেখকে টেটা বিদ্ধ করে। পরে স্বজনরা গিয়ে তাদেরকে উদ্ধার করে নড়াইল সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
আমিনুর গাজী নড়াইলের কালিয়া উপজেলার পুরুলিয়া ইউনিয়নের বুড়িখালি গ্রামের কওসার গাজীর ছেলে ও হেকমত শেখ একই গ্রামের মনজু শেখের ছেলে।
এ ঘটনায় বুড়িখালী বিএনপির অফিসসহ ৪/৫টি দোকান ভাংচুর করেছে সন্ত্রাসীরা।
সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের কর্মরত ডাক্তার শরীফ মোহাম্মদ হাসান বলেন, একজনের হাতে টেটা বিদ্ধ অপর জনের গুলি বিদ্ধ হয়েছে কিনা তা এক্সরে রির্পোট ছাড়া বলা যাচ্ছে যাবে না।
এ ঘটনায় কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খন্দকার শামীম উদ্দিন বলেন, এই ঘটনার সাথে যারা জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। এলাকার পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।