প্রকাশ: সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ২:১৯ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৩:৩১ অপরাহ্ন
বৈরী আবহাওয়ার কারণে ঝড়ের কবলে পড়ে নোয়াখালীর দ্বীপের হাতিয়ার উপজেলায় মেঘনা নদীতে দশটি মাছ ধরার ট্রলার ডুবিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এতে ট্রলারের থাকা ১৮ জন জেলেকে জীবিত উদ্ধার করতে পারলেও বাকী ৫টি ট্রলারসহ অন্য আট জেলে এখনো নিখোঁজ আছে বলে জানান স্থানীয় পুলিশ।
গতকাল রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার দিকে মেঘনা নদীতে বেশ কয়েকটি এলাকায় মাছ ধরার ট্রলার নদীতে তলিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়, গত কয়েকদিন ধরে মাছ ধরার জন্য হাতিয়ার উপজেলায় বিভিন্ন ঘাট থেকে গভীর সমুদ্রের পাড়ি জমায়; বেশ কয়েকটি মাছ ধরার ট্রলার। সমুদ্রের ঢেউ উত্তাল-পাতাল থাকার কারণে বিকাল থেকে মাছ ধরার ট্রলারগুলো নিয়ে ঘাটে উদ্দেশ্য রওয়ানা দেন জেলেরা । তবে ঘাটে আসার পথে ট্রলারগুলো বৈরী আবহাওয়ায় গতিবেগ বাতাসের কবলে পড়েন।
এসময় মেঘনা নদীর মোহনায় ১০টি মাছ ধরার ট্রলার ডুবে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিক পাশে থাকা মাছ ধরার অন্য ট্রলারে থাকা সহকর্মীরা বেশকিছু জেলেকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। এতে বিপর্যস্ত হয় জেলেদের জালসহ ট্রলারের থাকা সরঞ্জাম। একেবারে নদীতে তলিয়ে যায় জীবিকা উর্পাজনের ট্রলারগুলো। এছাড়া মেঘনা নদীতে আরও বেশ কয়েকটি ট্রলার রয়েছে বলে জানা যায়। সেগুলোর এখনও কোনো খবর পাওয়া যায়নি বলে নিশ্চিত করেন ট্রলারের মালিকপক্ষ । অন্যদিকে বৈরী আবহাওয়ায় কবলে পড়ে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে দেলোয়ার মাঝি নামে এক ব্যক্তি।
তবে সাথে থাকা ডুবে যাওয়া ট্রলারগুলোর মালিকাধীন ব্যাক্তিরা হলেন, বাবর মাঝি, জান মিয়া, দেলোয়ার মাঝি, হেলাল উদ্দিন, শহীদ মাঝি, মেহরাজ মাঝি ও ইউনুছ মাঝি প্রমুখ।
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিসান আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, তাৎক্ষণিক কিছু জেলেকে জীবিত উদ্ধার করা হলেও ৫টি ট্রলারসহ ৮ মাঝি এখনো নিখোঁজ রয়েছে। নিখোঁজের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। নিখোঁজ জেলেদের বিষয়ে তথ্য বিবরণ জানান দিবে বলে আশা ব্যক্ত করেন।