প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৬:০৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৬:৩৫ অপরাহ্ন
শিক্ষকদের পদত্যাগ দাবির প্রতিবাদ ও সিটি করপোরেশনের মাধ্যমে কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি নিয়োগের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন ঢাকা মহানগর মহিলা কলেজের শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কলেজের অডিটোরিয়ামের সামনে এ বিক্ষোভ করেন তারা।
বিক্ষোভে শিক্ষার্থীরা বলেন, কয়েকজন শিক্ষার্থীদের সাধারণ শিক্ষার্থীদের নাম করে আমাদের কলেজের দশজন শিক্ষকের পদত্যাগ দাবি করেছেন। যে বিষয়ে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা, ক্লাস ক্যপ্টেনরাও অবগত নই। আমরা এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমাদের কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতিও যেন সিটি করপোরেশনের মাধ্যমে নিয়োগ দেয়া হয় তা নিশ্চিত করতে হবে।
বিক্ষোভে কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী চিত্রামনি বলেন, শিক্ষকদের পদত্যাগের তালিকা কীভাবে করা হয়েছে তা আমরা জানি না। যদি কারো বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকে তাহলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হোক। কিন্তু এ রকমভাবে শিক্ষকদের হেনস্তা করা কাম্য নয়। আমাদের কলেজ সিটি করপোরেশনের কলেজ। এটা পরিচালনার কার্যক্রমও তাদের কাছে থাকা উচিত।
এসময় শিক্ষার্থীরা পাচ দফা দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো-কলেজ গভর্নিং বডিতে সিটি করপোরেশনের মেয়র অথবা প্রশাসককে সভাপতি হিসেবে দেখতে চাই। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আমাদের সম্মানের জায়গা! সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি অক্ষুন্ন রাখার স্বার্থে কলেজ থেকে নিজ ইচ্ছায় আগত সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত অফিসারের সভাপতি পদ থেকে প্রত্যাহার চাই। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বিতর্কিত করার অধিকার কারো নাই। আমরা এই কলেজের অধ্যক্ষের দূর্নীতির সুষ্ঠু তদন্ত চাই।
বিক্ষোভে শিক্ষার্থীরা আরোও বলেন, বর্তমান অধ্যক্ষ মেয়র তাপসের সময় ৩০ এপ্রিল ২০২৪ যোগদান করেন এবং যোগদানের প্রথম মাস তথা মে মাসের বেতন ও ঈদ বোনাস মিলিয়ে এক লক্ষ একুশ হাজার টাকা বেশি নেন, যা চরম আর্থিক দুর্নীতি। দ্বিতীয় মাসেও ঐ পরিমাণে বেতন আবারো নিয়ে গেলে সিটি কর্পোরেশন অডিট শাখা থেকে তদন্ত করে দেখা যায় সে অতিরিক্ত বেতন গ্রহণ করেছেন। ফলে যাচাই-বাছাই এর জন্য শিক্ষক ও কর্মচারীদের বেতন ভাতা তিন মাসের জন্য বন্ধ হয়ে যায়। বেতন বন্ধ হওয়ার এটি একটি অন্যতম কারণ। অধ্যক্ষের অর্থনৈতিক দুর্নীতির জন্য সবাইকে তথা শিক্ষক কর্মকর্তা কর্মচারীদের অর্থনৈতিক দুর্ভোগের মধ্যে ফেলে দেয়।
আবার তিনি সহকারী অধ্যাপক হলেও এই কলেজে নিয়োগপ্রাপ্ত হওয়ার পর অধ্যাপক পদবী ব্যবহার করতে শুরু করেন। তিনি কলেজের লাইব্রেরীর নামে বই কেনার জন্য সাংস্কৃতিক মন্ত্রালয় থেকে ছয় লক্ষ টাকা উত্তোলন করেন। কিন্তু কলেজকে অবহিত করেন ৫ লক্ষ টাকা। কিন্তু সে টাকা দিয়েও তিনি বই কিনেন নাই।
এ বিষয়ে মহানগর মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ সাইফুদ্দিন বলেন, আমার বিরুদ্ধে এগুলো সবই অসত্য কথা। লাইব্রেরীর কলেজে ফান্ডে সাধারণ তহবিলে টাকা পরে আছে উত্তোলন করা হয় নাই। আর আমার বেতন নিয়ে অ্যাকাউন্টস যোগবিয়োগ যে ভুলগুলো আছে সেগুলো অনেক আগেই কারেকশন হয়ে গেছে। এগুলো গর্ভনিং বডি কারেকশন করে ফেলেছে। এ নিয়ে আর আপত্তির কিছু নেই। হয়তো শিক্ষার্থীরা এগুলো জানে না।
তিনি আরোও বলেন, লাইব্রেরির টাকা ফাণ্ডে পড়ে আছে। সেটা গভর্নিং বডি সিদ্ধান্ত নিয়ে বই ক্রয় করার জন্য বাজেট হবে; টাকা উত্তোলন কমিটি হবে সেটা তো অনেক পরের কথা। সাধারণ তহবিলের টাকা তো সাধারণ কারো উত্তোলন করার সুযোগ নেই সভাপতি ছাড়া।