প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৬:১০ অপরাহ্ন
চীনে নতুন ভাইরাসের সন্ধান পাওয়া গেছে। যে ভাইরাসটির নাম ডাবড ওয়েটল্যান্ড ভাইরাস (ডব্লিউইএলভি)। ভাইরাসটি মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং মস্তিষ্ক আক্রান্ত হতে পারে। চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা বলছেন, কিছু কিছু ক্ষেত্রে স্নায়ুবিক রোগেরও কারণ হতে পারে এই ভাইরাস।
দ্য নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অফ মেডিসিনে প্রকাশিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালে ভাইরাসটি প্রথম শনাক্ত হয়েছিল চীনের জিনঝু শহরে ৬১ বছর বয়সী এক ব্যক্তির শরীরে। ডাঁস বা ছারপোকা জাতীয় পোকার (টিক) কামড়ে ওই ব্যক্তি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। চিকিৎসকেরা বলছেন, তাঁর জ্বর, মাথাব্যথা ও বমি বমি ভাব ছিল। কিন্তু অ্যান্টিবায়োটি দিয়েও তাঁকে সুস্থ করা যায়নি।
এরপর গবেষকেরা উত্তর চীনের বিভন্ন এলাকা থেকে ১৪ হাজার ৬০০ ডাঁস পোকা সংগ্রহ করেন। গবেষণায় দেখা যায়, এসব পোকার মধ্যে প্রায় ২ শতাংশের মধ্যে ডব্লিউইএলভি ভাইরাসের জীনগত উপাদান রয়েছে। এ ছাড়া ভেড়া, ঘোড়া, শূকর এবং কিছু ইঁদুরজাতীয় প্রাণীর শরীরের এই ভাইরাসের আরএনএ পাওয়া যায়।
গবেষকেরা উত্তর চীনের অনেক মানুষের শরীর থেকে রক্তের নমুনা সংগ্রহ করেন। এরপর গবেষণায় দেখতে পান, প্রতি ৬৪০ জনের মধ্যে ১২ জনের শরীরে ভাইরাসটির অ্যান্টিবডি রয়েছে।
এ ছাড়া গবেষকেরা ডাঁস পোকার কামড়ে আক্রান্ত ২০ জন রোগীর শরীরে ভাইরাসটির উপস্থিতি শনাক্ত করেন। ওই রোগীদের জ্বর, দুর্বলতা, মাথাব্যথা, বমি ও ডায়রিয়ার উপসর্গ ছিল। এমনকি রক্তে অতিরিক্ত শ্বেত রক্তকণিকার উপস্থিতি থাকার কারণে এদের একজন রোগী কোমায় চলে গিয়েছিলেন।
গবেষণায় আরও দেখা যায়, ভাইরাসটি মস্তিষ্ক ও স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষতি করতে সক্ষম এবং এতে মৃত্যুও হতে পারে। তবে ঠিক সময়ে যথাযথ চিকিৎসার পর সব রোগীই সেরে ওঠেন।